'কেন এল না' কবিতার প্রশ্ন উত্তর
🔹 'কেন এল না' কবিতার প্রশ্ন উত্তর PDF
1. "সেই মানুষ এখনও এল না।" -কার, কখন এ কথা মনে হয়েছিল? তার মনের মধ্যে কী প্রতিক্রিয়া হয়েছিল? ২+৩
উত্তর : বাংলা সাহিত্যের পদাতিক কবি সুভাষ মুখোপাধ্যায়ের লেখা 'কেন এল না' কবিতা থেকে উদ্ধৃতাংশটি নেওয়া হয়েছে। এই কবিতায় উল্লিখিত ছেলেটির মা মন্তব্যটি করেছে।
ছেলেটি সারাদিন খুশি মনে কাটালেও, রাস্তায় আলো জ্বলার পর যখন বাবা বাড়ি ফেরেনি, তখন সে চিন্তিত হয়ে পড়ে। ছেলেটি মার কাছে জানতে চায়- "রাস্তায় আলো জ্বলেছে অনেকক্ষণ; এখনও/বাবা কেন এল না, মা?” উল্লিখিত অংশে দেখা যায়, ছেলেটির এই উদ্বেগ তার মা-র মধ্যেও জন্ম নেয়।
তার প্রতিক্রিয়া : অফিসে যাওয়ার সময়ে ছেলেটির বাবা বলে গিয়েছিলেন যে, পুজোর কেনাকাটা তাড়াতাড়ি সেরে ফেলতে হবে। তাই মাইনে নিয়ে তাড়াতাড়ি ফিরে আসবেন। সেই মানুষটা সন্ধ্যা হয়ে যাওয়ার পরেও না ফেরায়, মা মানসিকভাবে অস্থির হয়ে ওঠেন। এই অস্থিরতার কারণে মা কখনো কড়ায় খুন্তি অকারণে নেড়ে দেওয়া বা ফ্যান গালতে গিয়ে পা পুড়িয়ে ফেলার মধ্যেই তার এই অস্থিরতা প্রকাশ পায়।
2. "হিজিবিজি অক্ষরগুলো একগুঁয়ে/অবাধ্য"-'হিজিবিজি অক্ষরগুলো' বলতে কী বোঝানো হয়েছে ? তাদের অবাধ্যতার কারণ আলোচনা করো। ২+৩
উত্তর : বাংলা সাহিত্যের পদাতিক কবি সুভাষ মুখোপাধ্যায়ের লেখা 'কেন এল না' কবিতা থেকে উদ্ধৃতাংশটি নেওয়া হয়েছে।
হিজিবিজি অক্ষর : এই কবিতায় যে কিশোরের কথা বলা হয়েছে, সে সন্ধ্যা হলে ইতিহাসের বই খুলে বসে, কিন্তু মন অস্থির থাকায় কিছুই বুঝতে বা আত্মস্থ করতে পারে না। তাই বইয়ের অক্ষরগুলো তার সামনে শুধু হিজিবিজি লাগে, ঠিক যেমন ‘বাপের আদরে মাথা খাওয়া ছেলে’।
অবাধ্যতার কারণ : অফিসে যাওয়ার সময়ে ছেলেটির বাবা বলে গিয়েছিলেন যে, পুজোর কেনাকাটা তাড়াতাড়ি সেরে ফেলতে হবে। তাই মাইনে নিয়ে তাড়াতাড়ি ফিরে আসবেন। সমস্ত দিন কৈশোরের উদ্দামতা অতিবাহনের পরে যখন আলো জ্বলে ওঠে রাস্তায়, তখন ছেলেটি বাবার জন্য অস্থির হয়ে ওঠে। কারণ বাবা আগেই বলে গিয়েছিলেন যে,পুজোর কেনাকাটা তাড়াতাড়ি সেরে ফেলতে হবে। কিশোর মন অপেক্ষা করতে করতে অস্থির হয়। সময় কেটে যায়, চারপাশ স্তব্ধ হয়ে পড়ে, কিন্তু ছেলেটির অস্থিরতার অবসান ঘটে না। "যতক্ষণ পুজোয় জামা কেনা না হচ্ছে/নড়বে না।" তাই পড়াশোনায় তার মন বসে না, ইতিহাসের বইয়ের অধ্যায়গুলো 'হিজিবিজি অক্ষর'-এর মতো লাগে।
3. "খুট করে একটা শব্দ-/ছিটকিনি খোলার।"- এই শব্দ কে শুনেছিলেন? এর পরবর্তী ঘটনাক্রম কী ছিল? ২+৩
উত্তর : বাংলা সাহিত্যের পদাতিক কবি সুভাষ মুখোপাধ্যায়ের লেখা 'কেন এল না' কবিতা থেকে উদ্ধৃতাংশটি নেওয়া হয়েছে।
কিশোর ছেলেটির মা খুট করে একটা ছিটকিনি খোলার শব্দটি শুনেছিলেন।
পরবর্তী ঘটনাক্রম : অফিসে যাওয়ার সময়ে ছেলেটির বাবা বলে গিয়েছিলেন মাইনে নিয়ে তাড়াতাড়ি বাড়ি ফিরে আসবেন। পুজোর কেনাকাটা তাড়াতাড়ি সেরে ফেলতে হবে। কিন্তু সন্ধ্যা নামলেও, রাস্তায় আলো জ্বলে উঠলেও বাবা বাড়ি না ফেরায় ছেলে অস্থির হয়ে পড়ে। তার সামনে ইতিহাসের বই খোলা থাকে, কিন্তু তখন সেটি ছেলেটির কাছে শুধু হিজিবিজি অক্ষরের মতো মনে হয়। সেই অস্থিরতা থেকেই সে বাইরে আসতে চায়। তখনই মা-র কানে আসে ছিটকিনি খোলার আওয়াজ। ছেলেটি গলির মুখে গিয়ে দাঁড়ায় । তখন রেডিয়োতে খবর পড়া চলছে। ছেলেটি 'একটু এগিয়ে দেখবে বলে' রাস্তায় গিয়ে নামল। তখন রাস্তার মোড়ে ভিড়। ছেলেটি খুব জোরে বাজি ফোটার শব্দ শুনল। পুজোর জন্য কী হচ্ছে তা দেখতে সে রাস্তায় এগিয়ে গেল। বন্দুর গুলির শব্দ সে চেনে না, রাস্তার মোড়ে দাঁড়িয়ে থাকা কালো গাড়ির ইঙ্গিত তার অজানা। কিন্তু অস্থির ও অরাজক সময় তার পরিণতি ঠিক করে দিয়েছে। মৃত্যুর পাশ কাটিয়ে অনেক রাত্রে বাবা ফিরে আসেন, কিন্তু ছেলে ফেরে না। ইতিহাসের এক রক্তাক্ত অধ্যায়ের আগ্রাসনে বলিপ্রদত্ত হতে হয় তাকে।
4. "মা এখন বুনতে বসে/কেবলি ঘর ভুল করছে।" -মা-এর এই অবস্থার কারণ কী ছিল? তাকে যে অস্থির রূপে এই কবিতায় দেখা যায় নিজের ভাষায় লেখো। ১+৪
উত্তর : বাংলা সাহিত্যের পদাতিক কবি সুভাষ মুখোপাধ্যায়ের লেখা 'কেন এল না' কবিতা থেকে উক্ত প্রশ্নটি নেওয়া হয়েছে।
মা-এর এই অবস্থার কারণ : 'কেন এল না’ কবিতায় দেখা যায়, রাত বাড়লেও কিশোর ছেলেটির মা এর
স্বামী বাড়ি না ফিরে আসার কারণে অস্থির হয়ে উঠেছিলেন। চারপাশ স্তব্ধ হয়ে গেলেও তার মনে উদ্বেগ থামেনি।
কিশোরের মায়ের অস্থির রূপে : এই কবিতায় দেখা যায় কিশোরের বাবা বলে গিয়েছিল যে, তাড়াতাড়ি বাড়ি ফিরে আসবেন, কিন্তু রাত হয়ে গেলেও ফেরেননি। তাই ছেলে অস্থির হয়ে ওঠে এবং সেই অস্থিরতা ছেলের মায়ের মধ্যেও ছড়িয়ে পড়ে। যে মানুষ অফিসে যাওয়ার সময়ে বলে গিয়েছিল পুজোর কেনাকাটা তাড়াতাড়ি সেরে ফেলতে হবে। তাই মাইনে নিয়ে তাড়াতাড়ি ফিরে আসবেন। সেই মানুষটি সন্ধ্যা নেমে এলেও বাড়িতে না ফেরায় কিশোরের মা উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন। সেই অস্থিরতার কারণে কড়ায় খুন্তি নাড়তে থাকে। অন্যমনস্ক থাকায় ফ্যান গালতে গিয়ে পা পুড়ে যায়। রান্না অনেকক্ষণ আগে শেষ হয়ে গেছে , স্নানও হয়ে গেছে, কিন্তু স্বামী বাড়ি ফেরেননি, অপেক্ষার সময় ক্রমেই দীর্ঘ হয়ে উঠেছে। এই ভাবে মা-র আচরণে বারবার উদ্বেগের বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে। উল বুনতে বসলেও ঘর ভুল হয়ে যায়।
5.'কেন এল না' কবিতায় ছেলেটির সমস্ত দিনের অপেক্ষা এবং তার করুণ পরিণতির আলোয় কবিতাটির বিষয়ভাবনা নিজের ভাষায় আলোচনা করো। ৫
উত্তর : এই প্রশ্নের উত্তর PDF এর মধ্যে আছে। PDF Download করার অপশন নিচে দেওয়া আছে।
🔹 লেখকের শেষ মন্তব্য :
WB Semester Team প্রকাশিত দ্বাদশ শ্রেণীর চতুর্থ সেমিস্টার সাজেশন ই-বুকগুলি (PDF) সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে আমাদের ওয়েবসাইটের উপরের Menu অপশনে ক্লিক করুন। উপরের প্রশ্ন-উত্তর গুলি যদি আপনাদের কাজে লাগে, তবেই আমাদের এই পরিশ্রম সার্থক হবে।
File Details :
PDF Name : 'কেন এল না' কবিতার প্রশ্ন উত্তর PDF
Size : 1.3 mb
No. of Pages : 2
Download Link : Click here To Download
আরো পড়ুন | প্রশ্নোত্তর |
---|---|
1. প্রার্থনা কবিতার প্রশ্ন উত্তর PDF | Click here |
2. 'Three Questions' গল্পের প্রশ্ন উত্তর PDF | Click here |
3. হারুন সালেমের মাসি গল্পের প্রশ্ন উত্তর PDF | Click here |
4. দ্বাদশ শ্রেণির চতুর্থ সেমিস্টার বাংলা প্রশ্নপত্র PDF | Click here |
WB Semester Team
📞 & 💬 9883566115