হারুন সালেমের মাসি গল্পের প্রশ্ন উত্তর PDF
হারুন সালেমের মাসি গল্পের প্রশ্ন উত্তর
1."এইসব সময়ে গৌরবির বড়ো কষ্ট হয়। ও রেললাইনের দিকে চেয়ে থাকে"- গৌরবির বড়ো কষ্ট হয় কেন? তার রেললাইনের দিকে চেয়ে থাকার কারণ কী ? 2+3
উত্তর : বাংলা সাহিত্যের লেখিকা মহাশ্বেতা দেবীর লেখা হারুন সালেমের মাসি গল্প থেকে উক্ত প্রশ্নটি নেওয়া হয়েছে।
গৌরবের কষ্টের কারণ : গল্পে গৌরবি হারাকে তার মায়ের কবরে মাটি দিতে পাঠিয়ে, বিকালের পড়ন্ত রোদে যজ্ঞডুমুরের ডাল ভাঙতে ভাঙতে উদাস হয়ে ভাবে-হারার-মার তবু ভাগ্য ভালো, নিজের ঘরে মরেছে এবং অবশেষে নিজের ছেলের হাতের মাটিটুকুও পেয়েছে। কিন্তু গৌরবি বাস করে পরের ভিটেতে, নিজের ছেলে থেকেও নেই। গৌরবি জানে না সে কোথায় মরবে এবং মৃত্যুর পর কে তার মুখে আগুন দেবে-তাই নিজের শেষ পরিণামের কথা চিন্তা করে গৌরবির বড়ো কষ্ট হয়।
রেল লাইনের দিকে চেয়ে থাকার কারণ : দুঃখের মুহূর্তগুলোতে গৌরবি রেললাইনের দিকে চেয়ে থাকে, কারণ কয়েকটা স্টেশন পরেই তার ছেলে নিবারণের বাড়ি। প্রাইভেট বাসের টিকিটবাবুর কাজ করে আজকাল তার আর্থিক অবস্থা বেশ ভালো, ঘরের মেঝে পাকা, মাথায় টিনের চাল, বাড়িতে টিউবওয়েল, রেডিও, তবুও ছেলের সংসারে তার কোনও ঠাঁই নেই। মৃত্যুর পর ছেলে তার মুখাগ্নি করবে কি না সে ব্যাপারেও ছেলে নিবারণের কথা ভেবেই নিরুপায় দুঃখে অসহায় গৌরবি রেললাইনের দিকে চেয়ে থাকে।
2. কী ভয়ানক প্রতিহিংসা নিবারণের, কিছুই ও ভোলে না।'- নিবারণের প্রতিহিংসার কারণ কী। কীভাবে সে প্রতিহিংসা চরিতার্থ করেছিল ? 3+2
উত্তর : বাংলা সাহিত্যের লেখিকা মহাশ্বেতা দেবীর লেখা হারুন সালেমের মাসি গল্প থেকে উক্ত প্রশ্নটি নেওয়া হয়েছে।
নিবারণের প্রতিহিংসার কারণ : একমাত্র মেয়ে পুঁটির বিয়ের সময় বাসের কন্ডাক্টরকে জামাই করতে গিয়ে নিবারণের বাবা ঘর তৈরির টাকা ভেঙে জামাইকে ঘড়ি, সাইকেল ও টর্চ কিনে দিয়েছিল। বয়স তখন অনেক কম হলেও সাইকেলটা দেখতে দেখতে ঈর্ষাকাতর নিবারণ তার বাবার কাছে অভিযোগ করে বলে যে, দুই ভাইবোনের এক জনকে বন্বিত করে আর একজনকে সব কিছু দেওয়া মোটেই ঠিক হচ্ছে না। বাপ ছেলেতে বিবাদের পরিপ্রেক্ষিতে মা গৌরবি ছেলে নিবারণকে তিরস্কার করে বলেছিল যে, বৃথাই নিবারণ তার বোন পুঁটিকে হিংসা করছে-আর পাঁচটা মেয়ের মতো সময় হলে পুঁটিও নিশ্চয়ই তাদের দেখবে। একথা শুনে প্রতিহিংসা চেপেছিল নিবারণের মাথায়-এই ছিল নিবারণের প্রতিহিংসার কারণ।
প্রতিহিংসা চরিতার্থ : বোনের বিয়েতে যৌতুক দেওয়ার প্রশ্নে নিবারণ তার মা গৌরবিকে বলেছিল 'সময়ে বুঝা যাবে'। পরবর্তী সময়ে নিজের চেষ্টায় ঘর তুলে নিবারণ মেঝেটা পাকা করল এবং নিজে বিয়ে করতে না করতে অসহায় গৌরবিকে আশ্রয় দিতে অস্বীকার করে নিজের প্রতিহিংসার চরিতার্থতা সাধন করেছিল। এর পর মা-কে পাঁচটা করে টাকা দিয়েছিল ক'মাস, তারপর আর দেয়নি-তখনই গৌরবি বুঝেছিল কী ভয়ানক প্রতিহিংসা নিবারণের, কিছুই ও ভোলে না।
3. "কি বিপদ, কি বিপদ। ওর নিজের বলতে কেউ নেই?"-কখন ওর মনে এই ভাবনা আসে? তার বিপদটা কেমন ছিল? 2+৩
উত্তর : বাংলা সাহিত্যের লেখিকা মহাশ্বেতা দেবীর লেখা হারুন সালেমের মাসি গল্প থেকে উক্ত প্রশ্নটি নেওয়া হয়েছে।
এই গল্পে আমরা দেখতে পাই, মাতৃহারা জড়বুদ্ধি সম্পন্ন অনাথ শিশু হারাকে তার দূর সম্পর্কীয় কাকা রাখতে অস্বীকার করলে আশ্রয় নেয় গৌরবির কাছে। তখনই তার মনে এই ভাবনা আসে।
গৌরবির বিপদ : গৌরবির বিপদের আশঙ্কা ছিল দুদিক দিয়ে, একদিকে তার অসীম দারিদ্র্য, অন্যদিকে ছিল সামাজিক বিধিনিষেধ। নিজের জন্য একবেলার খাবার জোটাতেই গৌরবিকে মাথার ঘাম পায়ে ফেলাতে হত, এর ওপরে হারার খাবার জোটানো ছিল তার পক্ষে প্রায় অসম্ভব। অন্যদিকে, হারা এক মুসলমান সন্তান হওয়ায় হিন্দু হয়ে তাকে নিজের ঘরে আশ্রয় দিলে গৌরবির ধর্মচ্যুত হবার সম্ভাবনা ছিল। সুতরাং গৌরবির বিপদ ছিল দুটো, এক: দু'জনের খাবার জোগাড় করা এবং দুই: মুসলমানের সন্তানকে আশ্রয় দিয়ে জাত খোয়ানোর ভয়।
4. "এই তো স্বর্গ। তার স্বর্গ আর হারার-মা'র স্বর্গ কি এক হতে পারে? নাকি সব গরিবের স্বর্গ আসলে এক?"- কোন অবস্থাকে স্বর্গ বলে মনে হল গৌরবির? স্বর্গ সম্পর্কে এ প্রশ্ন গৌরবির মনে কেন জাগত ? 2+৩
উত্তর : বাংলা সাহিত্যের লেখিকা মহাশ্বেতা দেবীর লেখা হারুন সালেমের মাসি গল্প থেকে উক্ত প্রশ্নটি নেওয়া হয়েছে।
গৌরবির স্বর্গ বলে মনে হওয়ার কারণ : এই গল্পে হারার-মা মরে যাওয়ার পর গৌরবি এক রাতে স্বপ্নে দেখল, হারার মা তার হাত ধরে আশ্চর্য এক জায়গায় নিয়ে গেছে, সেখানে থানকুনি পাতা আর দূর্বাঘাসের বিস্তৃত বিশাল সম্ভার, মাদার গাছের ছায়ায় ঢেঁকিশাকের জঙ্গল। এত শাকপাতা সব দু'হাতে তুলতে তুলতে গৌরবির মনে হল, এই তো তার কাঙ্ক্ষিত স্বর্গ!
স্বর্গ সম্পর্কে এই প্রশ্ন গৌরবির : গৌরবির কাঙ্খিত স্বর্গ ছিল স্বপ্নে দেখা এমন একটা আশ্চর্য দেশ, যেখানে দুঃখ কষ্ট নেই এবং যেখানে খেয়েপরে সুখেস্বচ্ছন্দে বেঁচে থাকা যায়। কিন্তু গৌরবি হিন্দু আর হারার মা ধর্মে মুসলমান। জাতপাতের ভেদাভেদের কথা ভেবেই গৌরবির মনে হয় তাদের দু'জনের স্বর্গ বোধ হয় এক নয়। অন্যদিকে, তার একথাও মনে হয়, হারার মা ও তার মতো দীনদুঃখী সব গরিব মানুষের স্বর্গ আসলে একই জায়গা, যেখানে দুঃখ কষ্ট অভাব অভিযোগ ও জাতপাতের কোনো ভেদাভেদ থাকে না।
5. 'হাবুন সালেমের মাসি' গল্পে গৌরবির ছেলে নিবারণের চরিত্রটি কেমন, তা বিশ্লেষণ করে দেখাও। 5
উত্তর : নিচে Free PDF Download করার অপশন আছে। ডাউনলোড করলেই উত্তর পাবেন।
6. “বড়ো দুঃখ হল গৌরবীর। তারপর মনে হল তার চেয়ে হারার মা ভাগ্যবতী।”- কেন গৌরবীর দুঃখ হল ? তার চেয়ে হারার মা ভাগ্যবতী মনে হওয়ার কারণ ছিল? 3+2
উত্তর : নিচে Free PDF Download করার অপশন আছে। ডাউনলোড করলেই উত্তর পাবেন।
7. 'হাবুন সালেমের মাসি' গল্পে গৌরবির ছেলে নিবারণের চরিত্রটি কেমন, তা বিশ্লেষণ করো ? 5
উত্তর : নিচে Free PDF Download করার অপশনে আছে। ডাউনলোড করলেই উত্তর পাবেন।
🔹লেখকের শেষ মন্তব্য : WB Semester Team প্রকাশিত দ্বাদশ শ্রেণীর চতুর্থ সেমিস্টার সাজেশন ই-বুকগুলি (PDF) আপনাদের প্রয়োজন হয়, তাহলে আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করুন। উপরের প্রশ্ন-উত্তর গুলি যদি আপনাদের কাজে লাগে, তবেই আমাদের এই পরিশ্রম সার্থক হবে।
File Details :
PDF Name : হারুন সালেমের মাসি গল্পের প্রশ্ন উত্তর
Size : 1 mb
No. of Pages : 5
Download Link : Click here To Download
আরো পড়ুন | প্রশ্নোত্তর |
---|---|
1. হারুন সালেমের মাসি গল্প | Click here |
2. একাদশ শ্রেণির প্রবন্ধ রচনা সাজেশন | Click here |
3. Class 11 বাংলা শিল্প-সাহিত্য ও সংস্কৃতির ইতিহাস | Click here |
Thanks
WB Semester Team
Call : 9883566115