WB Semester Display Ads-1

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

মাধ্যমিক প্রবন্ধ রচনা সাজেশন 2026 PDF | Madhyamik Bengali Probondho Suggestion | Probondho Rachana Class 10

0

মাধ্যমিক প্রবন্ধ রচনা সাজেশন 2026 PDF


ভূ(caps)মিকা : মাধ্যমিক বাংলা পরীক্ষার প্রশ্নপত্রের ১১ নম্বর দাগে ১০ নম্বর মানের চারটি প্রবন্ধ রচনা আসে তার মধ্যে যে-কোনো একটি প্রবন্ধ রচনা করতে হয়। তাই আমি তোমাদের সুবিধার জন্য ২০২৬ সালের মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ কিছু প্রবন্ধ রচনার সাজেশন বলে দিলাম। এখান থেকে পরীক্ষায় 100% কমন পাবে। প্রতিটি প্রবন্ধের উত্তর পয়েন্ট ভিত্তিক করে দেওয়া হয়েছে যাতে পুরো ১০ নম্বর পাওয়া যায়।

মাধ্যমিক প্রবন্ধ রচনা সাজেশন 2026 PDF

🔹 Madhyamik Bengali Probondho Suggestion PDF

[প্রতিটি প্রশ্নের মান : 10]
1. কুসংস্কার ও ছাত্রসমাজ / কুসংস্কার প্রতিরোধে ছাত্রছাত্রীদের ভূমিকা
2. পরিবেশ দূষণ ও তার প্রতিকার / দূষণ প্রতিরোধে ছাত্রসমাজের ভূমিকা / পরিবেশ সুরক্ষায় ছাত্র-ছাত্রীদের ভূমিকা
3. বিজ্ঞানের আশীর্বাদ না অভিশাপ   অথবা, বিজ্ঞানের ভালো-মন্দ দিক
4. বিশ্ব উষ্ণায়ন
5. বাংলা উৎসব
6. বৃক্ষরোপণ / একটি গাছ একটি প্রাণ
7. তোমার জীবনের লক্ষ্য
8. তোমার দেখা একটি মেলা
9. তোমার প্রিয় ঋতু
10. রক্তদান জীবন দান
11. বাংলার ঋতুবৈচিত্র্য
12. বই পড়া / বই মানুষের শ্রেষ্ঠ বন্ধু

3. পরিবেশ দূষণ ও তার প্রতিকার 
অথবা,
দূষণ প্রতিরোধে ছাত্রসমাজের ভূমিকা 
অথবা,
পরিবেশ সুরক্ষায় ছাত্র-ছাত্রীদের ভূমিকা 
ভূমিকা : জীবনের সার্থকতা পরিবেশের উপর নির্ভরশীল। নির্মল পরিবেশই জীবজগতের সুস্থতার মূল চাবিকাঠি। কিন্তু আধুনিক যন্ত্রসভ্যতার প্রভাবে আজ আমাদের পরিবেশ মারাত্মকভাবে দূষিত হচ্ছে। বায়ু, জল, মাটি, শব্দ ও সামাজিক পরিবেশ – সব দিকেই ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে। এই দূষণ রোধ করাই আজকের যুগের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।
মূল আলোচনা :
(ক) বায়ু দূষণ : বর্তমান যুগে কলকারখানা, মোটরগাড়ি, ট্রাক, বাস ইত্যাদির ধোঁয়া এবং পারমাণবিক পরীক্ষা থেকে নির্গত বিষাক্ত গ্যাসের ফলে বায়ু ক্রমশ দূষিত হচ্ছে। এই দূষিত বায়ু মানবদেহে প্রবেশ করে শ্বাসকষ্ট, অ্যাজমা, ফুসফুসের ক্যান্সারসহ নানা রোগের জন্ম দেয়। বায়ুমণ্ডলের কার্বন ডাই-অক্সাইড ও অন্যান্য ক্ষতিকর গ্যাসের পরিমাণ বৃদ্ধির ফলে জলবায়ু পরিবর্তন ও বৈশ্বিক উষ্ণতা ভয়াবহ আকার নিচ্ছে।
(খ) জল দূষণ : জল হলো জীবনের উৎস, কিন্তু আজ তা দূষণে ভরে গেছে। শিল্প ও কলকারখানার বর্জ্য পদার্থ, শহরের পয়োনিষ্কাশন, কীটনাশক ও রাসায়নিক সার নদী, খাল-বিল ও পুকুরে মিশে জলকে বিষাক্ত করে তুলছে। ফলে জলচর প্রাণীর মৃত্যু ঘটছে এবং মানুষের পানীয় জলও অনিরাপদ হয়ে পড়ছে। এর ফলে কলেরা, টাইফয়েডসহ নানা সংক্রামক রোগ ছড়াচ্ছে।
(গ) মাটি দূষণ : চাষাবাদের সময় অতিরিক্ত রাসায়নিক সার ও কীটনাশক ব্যবহার মাটির প্রাকৃতিক গুণ নষ্ট করছে। শহরের আবর্জনা, প্লাস্টিক ও শিল্পবর্জ্য জমে মাটির উর্বরতা ধীরে ধীরে কমে যাচ্ছে। এতে শুধু ফসল উৎপাদনই হ্রাস পাচ্ছে না, জীববৈচিত্র্যেরও ক্ষতি হচ্ছে।
(ঘ) শব্দ দূষণ : নগরজীবনে আজ শব্দ দূষণ এক ভয়াবহ সমস্যা। যানবাহনের হর্ণ, নির্মাণ কাজের আওয়াজ, কলকারখানার যন্ত্রপাতির শব্দ, এমনকি উৎসব ও বাজির আওয়াজও মানুষের মানসিক প্রশান্তি নষ্ট করছে। অনেকের শ্রবণশক্তি হ্রাস পাচ্ছে এবং স্নায়বিক রোগ দেখা দিচ্ছে।
(ঙ) তেজস্ক্রিয় দূষণ : পারমাণবিক পরীক্ষা ও তেজস্ক্রিয় পদার্থের ব্যবহার আজ মানবসভ্যতার জন্য বিপদ ডেকে এনেছে। এসব বিকিরণ বাতাস, জল ও মাটির সঙ্গে মিশে দীর্ঘমেয়াদি ক্ষতি ঘটায়। এর প্রভাবে ক্যান্সার, অঙ্গহানি, এমনকি পরবর্তী প্রজন্মের জিনগত ত্রুটিও সৃষ্টি হতে পারে।
(চ) সামাজিক ও সাংস্কৃতিক দূষণ : আজকের সমাজে কুরুচিকর সিনেমা, অশালীন পত্রিকা, মাদকাসক্তি, বেকারত্ব ও নৈতিক অবক্ষয় মানুষের মানসিক ভারসাম্য নষ্ট করছে। এর ফলে যুবসমাজের মধ্যে অপরাধ প্রবণতা, অশ্লীলতা ও অসহিষ্ণুতা বাড়ছে, যা সমাজজীবনের জন্য গভীর হুমকি।
(ছ) জীববৈচিত্র্য ধ্বংস : বনভূমি নির্বিচারে ধ্বংস এবং বন্যপ্রাণীর অবাধ শিকার প্রকৃতির ভারসাম্য নষ্ট করছে। বহু প্রাণী বিলুপ্ত বা বিলুপ্তপ্রায় অবস্থায় পৌঁছেছে। এর ফলে জলবায়ু ও পরিবেশে অস্বাভাবিক পরিবর্তন ঘটছে যা মানুষকেও ক্ষতিগ্রস্ত করছে।
(জ) মানবস্বাস্থ্যের ক্ষতি : দূষণের প্রভাবে আজ মানুষ নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। বায়ু দূষণে শ্বাসযন্ত্রের রোগ, জল দূষণে পেটের ব্যাধি, শব্দ দূষণে স্নায়ুরোগ, তেজস্ক্রিয় দূষণে ক্যান্সার – সব মিলিয়ে মানুষের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য হুমকির মুখে পড়ছে।
(ঝ) প্রতিকারমূলক ব্যবস্থা : পরিবেশ দূষণ রোধে বৃক্ষরোপণ ও সামাজিক বনসৃজন অত্যন্ত জরুরি। শিল্পবর্জ্য ও প্লাস্টিক পুনর্ব্যবহার করতে হবে। সরকারকে কঠোর পরিবেশ আইন প্রয়োগ করতে হবে এবং দূষণকারীদের শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। জলাশয় রক্ষা ও যানবাহনের ধোঁয়া নিয়ন্ত্রণে আনতে হবে।
(ঞ) শিক্ষা ও গণসচেতনতা : পরিবেশ রক্ষার জন্য শিক্ষা ও সচেতনতার বিকল্প নেই। বিদ্যালয়, কলেজ, গণমাধ্যম ও সামাজিক প্রচারের মাধ্যমে সবাইকে পরিবেশ সম্পর্কে সচেতন করতে হবে। প্রতিটি নাগরিকের উচিত নিজের চারপাশ পরিষ্কার রাখা ও অন্যকেও অনুপ্রাণিত করা।
উপসংহার : পরিবেশ রক্ষা মানে জীবন রক্ষা। আমাদের চারপাশ যদি নির্মল ও দূষণমুক্ত হয়, তবে মানবসভ্যতাও টিকে থাকবে। তাই প্রত্যেক নাগরিকের কর্তব্য পরিবেশের ভারসাম্য বজায় রাখা। নইলে একদিন পৃথিবী সত্যিই “জরা ও মৃত্যু-ভীষণা ধরায়” পরিণত হবে।
🔹 লেখকের শেষ মন্তব্য :
এখানের সমস্ত প্রবন্ধ রচনাগুলির উত্তর পেতে হলে সাজেশন ই-বুক(PDF)টি কিনতে হবে। মাত্র কয়েক টাকার বিনিময়ে পেয়ে যাবেন, তাই আমাদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করুন।
File Details :
PDF Name : মাধ্যমিক প্রবন্ধ রচনা সাজেশন 2026 PDF
Size : 1 MB
No. of Pages : 15
Mode : Read-only (Online)
Copy : Demo
Download Link : Click here To Download

আরো পড়ুন প্রশ্নোত্তর
1. দ্বাদশ শ্রেণীর চতুর্থ সেমিস্টার সকল বিষয়ের প্রশ্ন উত্তর Click here
2.দ্বাদশ শ্রেণির তৃতীয় সেমিস্টার প্রশ্ন উত্তর   Click here
3. ক্লাস 12 জাতীয়তাবাদ ও বিচ্ছিন্নতাবাদ PDF Click here



Regards
WB Semester Team 
📞 & 💬 9883566115

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.