WB Semester Display Ads-1

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

সংবিধান সংশোধন এবং স্থানীয় স্বায়ত্তশাসন ক্লাস 12 PDF | দ্বাদশ শ্রেণির চতুর্থ সেমিষ্টার রাষ্ট্রবিজ্ঞান ষষ্ঠ অধ্যায় প্রশ্ন উত্তর

0

ষষ্ঠ অধ্যায় : সংবিধান সংশোধন এবং স্থানীয় স্বায়ত্তশাসন


ভূ(caps)মিকা : দ্বাদশ শ্রেণির চতুর্থ সেমিস্টার রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিষয়ে 40 নম্বরের লিখিত পরীক্ষা হবে। এই 40 নম্বর এর মধ্যে রাষ্ট্রবিজ্ঞান সিলেবাসের ষষ্ঠ অধ্যায় : "সংবিধান সংশোধন এবং স্থানীয় স্বায়ত্তশাসন" থেকে মোট 6 নম্বর আসবে। অর্থাৎ 2 নম্বর মানের একটি প্রশ্ন এবং 4 নম্বর মানের একটি প্রশ্ন করতে হবে। তাহলে মোট 2+4=6 নম্বর। এখন আমি নিচে তোমাদের সুবিধার জন্য দ্বাদশ শ্রেণির চতুর্থ সেমিস্টার রাষ্ট্রবিজ্ঞান সিলেবাসের ষষ্ঠ অধ্যায় : "সংবিধান সংশোধন এবং স্থানীয় স্বায়ত্তশাসন" থেকে 4 নম্বর মানের খুব গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন উত্তরসহ Free PDF নিচে দিলাম। তবে দ্বাদশ শ্রেণির চতুর্থ সেমিস্টার সাজেশন ই-বুকগুলি(PDF) সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চাইলে আমাদের ওয়েবসাইটের Menu Option এ ক্লিক করে দেখতে পারেন।

দ্বাদশ শ্রেণির চতুর্থ সেমিষ্টার রাষ্ট্রবিজ্ঞান ষষ্ঠ অধ্যায় প্রশ্ন উত্তর

🔹 দ্বাদশ শ্রেণির চতুর্থ সেমিষ্টার রাষ্ট্রবিজ্ঞান ষষ্ঠ অধ্যায় প্রশ্ন উত্তর

[প্রতিটি প্রশ্নের মান 4]
 1. ভারতের সংবিধান সংশোধনের তিনটি পদ্ধতি সম্পর্কে লেখো।
অথবা, 
৩৬৮ নং ধারানুসারে ভারতীয় সংবিধানের সংশোধন পদ্ধতি আলোচনা করো। [HS Model Question] [4]
উত্তর : ভারতীয় সংবিধান পরিবর্তনের জন্য তিনটি পদ্ধতি আছে। এর মধ্যে দুটি পদ্ধতির কথা ৩৬৮ নং ধারায় বলা হয়েছে। তৃতীয় পদ্ধতিটি সাধারণ আইন পাসের পদ্ধতিতে পরিবর্তন করা যায়, তাই এটি ওই ধারায় উল্লেখ নেই। এই তিনটি পদ্ধতির মাধ্যমে সংবিধানকে সময়ের প্রয়োজন অনুযায়ী পরিবর্তন করা হয়। এখন এই তিনটি সংশোধন পদ্ধতি সম্পর্কে নিচে আলোচনা করছি -
ভারতের সংবিধান সংশোধনের পদ্ধতি : 
1. সরল পদ্ধতি : সাধারণ আইন পাসের পদ্ধতিতে পার্লামেন্টের উভয় কক্ষের সাধারণ সংখ্যাগরিষ্ঠতায় সংবিধান সংশোধন করা যায়। এই পদ্ধতিতে নতুন রাজ্য তৈরি, পুরনো রাজ্যের সীমানা বা নাম পরিবর্তন, বিধান পরিষদ গঠন বা বিলোপ, নির্বাচন ব্যবস্থা এবং নাগরিকত্ব অর্জন বা বিলোপের মতো বিষয় পরিবর্তন করা যায়। সংবিধানে এই পদ্ধতির উল্লেখ বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে রয়েছে।
2. আংশিক জটিল পদ্ধতি : ৩৬৮ নং ধারায় উল্লিখিত এই পদ্ধতিতে সংবিধানের কিছু নির্দিষ্ট অংশ পরিবর্তনের জন্য বিশেষ সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রয়োজন হয়। অর্থাৎ, পার্লামেন্টের প্রতিটি কক্ষে মোট সদস্যের অর্ধেকের বেশি এবং উপস্থিত সদস্যদের দুই-তৃতীয়াংশের সমর্থন থাকতে হয়। দুটি কক্ষে প্রস্তাব পাস হলে তা রাষ্ট্রপতির অনুমতির জন্য পাঠানো হয়। রাষ্ট্রপতি অনুমতি দিলে সংশোধনী আইন কার্যকর হয়। ২৪তম সংশোধনী অনুযায়ী রাষ্ট্রপতির জন্য এই অনুমতি দেওয়া বাধ্যতামূলক। তবে কোনো সংশোধনী বিল নিয়ে দুই কক্ষের মধ্যে মতবিরোধ হলে বিলটি বাতিল হয়ে যায় এবং এই ক্ষেত্রে যৌথ অধিবেশন ডাকা হয় না।
3. জটিল পদ্ধতি : এই পদ্ধতি আগের দুইটির তুলনায় বেশি কঠিন। প্রথমে সংশোধনী প্রস্তাবটি পার্লামেন্টের দুই কক্ষে মোট সদস্যদের অর্ধেকের বেশি এবং উপস্থিত সদস্যদের দুই-তৃতীয়াংশের সমর্থন পেতে হয়। তারপর তা রাজ্য আইনসভাগুলিতে পাঠানো হয় এবং অন্তত অর্ধেক রাজ্যের অনুমোদন পাওয়া জরুরি। রাজ্য আইনসভা শুধু প্রস্তাবটি গ্রহণ বা বাতিল করতে পারে, পরিবর্তন আনতে পারে না। এরপর রাষ্ট্রপতির স্বাক্ষর পেলেই সংশোধন কার্যকর হয়। এই পদ্ধতিতে রাষ্ট্রপতি নির্বাচন, সংসদে রাজ্যের প্রতিনিধিত্ব ও সংবিধান সংশোধনের ক্ষমতা সম্পর্কিত বিষয় পরিবর্তন করা যায়।

2. ৭৩তম সংবিধান সংশোধনী আইনের বৈশিষ্ট্যগুলি লেখো। [4]
উত্তর : ৭৩তম সংবিধান সংশোধনী আইনের মাধ্যমে ভারতীয় সংবিধানের নবম অংশে (Part IX) পঞ্চায়েত ব্যবস্থার কিছু গুরুত্বপূর্ণ দিক বৈশিষ্ট্য করা হয়েছে। সেগুলি সম্পর্কে আমি নিজে বিস্তারিত আলোচনা করছি-
৭৩তম সংবিধান সংশোধনী আইনের বৈশিষ্ট্য : 
1. গ্রামসভা : এই আইনের ফলে প্রতিটি গ্রামে একটি গ্রামসভা গঠিত হয়। এটি গ্রামের সব মানুষকে নিয়ে তৈরি হয়। পঞ্চায়েত সম্পর্কিত বিভিন্ন কাজ ও ক্ষমতা গ্রামসভাই পালন করে।
2. ত্রিস্তরীয় ব্যবস্থা : ভারতের প্রতিটি রাজ্যে তিন স্তরের পঞ্চায়েত গঠন করা হয়—গ্রামীণ স্তর, মধ্যবর্তী স্তর এবং জেলা স্তর। তবে যে রাজ্যে জনসংখ্যা ২০ লক্ষের কম, সেখানে মধ্যবর্তী স্তর থাকবে না।
3. কার্যকালের মেয়াদ : প্রতিটি পঞ্চায়েতের মেয়াদ ৫ বছর। রাজ্য সরকার এই মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে ভাঙার ক্ষেত্রে পঞ্চায়েতকে মতামত দেওয়ার সুযোগ দিতে হবে। মেয়াদ শেষের আগে নতুন পঞ্চায়েতের নির্বাচন সম্পন্ন করতে হবে। যদি কোনো পঞ্চায়েত ভাঙা হয়, তবে ৬ মাসের মধ্যে নির্বাচন হবে এবং নবনির্বাচিত পঞ্চায়েত বাকি সময়ের কাজ সম্পন্ন করবে।
3. বিশেষ আসন সংরক্ষণ :
   i. প্রতিটি পঞ্চায়েত স্তরে তপশিলি জাতি ও উপজাতিদের জন্য জনসংখ্যার অনুপাতে আসন সংরক্ষণ করা হবে।
   ii. এই সংরক্ষিত আসনের অন্তত এক-তৃতীয়াংশ মহিলা তপশিলি জাতি ও উপজাতিদের জন্য থাকবে।
 iii. এছাড়া, পঞ্চায়েতের মোট আসনের অন্তত এক-তৃতীয়াংশ মহিলা জন্য সংরক্ষিত থাকবে, তপশিলি ও উপজাতির মহিলাদের আসনসহ।
5. রাজ্য নির্বাচন কমিশন : পঞ্চায়েতের নির্বাচন পরিচালনা ও তত্ত্বাবধান এবং ভোটার তালিকা প্রস্তুতির দায়িত্ব রাজ্য নির্বাচন কমিশনের। এতে একজন কমিশনার থাকেন, যিনি রাজ্যপাল নিযুক্ত করেন। রাজ্যপাল আইন অনুযায়ী তার চাকরি ও মেয়াদ নির্ধারণ করেন।

3. গ্রাম পঞ্চায়েতের ক্ষমতাগুলি আলোচনা করো।
অথবা, 
গ্রাম পঞ্চায়েতের কার্যাবলি আলোচনা করো। [4]
উত্তর : গ্রাম পঞ্চায়েতের ক্ষমতা ও কাজগুলি সুসংগঠিত। তাই এগুলিকে কয়েকটি ভাগে ভাগ করে দেখা যায়। নিচে আমি বিস্তারিত আলোচনা করছি -
গ্রাম পঞ্চায়েতের ক্ষমতা ও কার্যাবলি :
1. প্রধান দায়িত্বসমূহ : গ্রাম পঞ্চায়েতের বাধ্যতামূলক অনেকগুলি কাজ রয়েছে। যেমন : জনকল্যাণ, আর্থসামাজিক উন্নয়ন ও সামাজিক ন্যায়, উন্নয়নমূলক পরিকল্পনা, বার্ষিক পরিকল্পনা বাস্তবায়ন, জনস্বাস্থ্য ও স্বাস্থ্য সচেতনতা, বর্জ্য নিষ্কাশন, প্রাথমিক শিক্ষা সম্প্রসারণ, পশ্চাৎপদ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের শিক্ষা নিশ্চিতকরণ এবং বয়স্ক শিক্ষার প্রসার।
2. স্বেচ্ছাধীন কর্তব্যসমূহ : যে কার্যগুলি গ্রাম পঞ্চায়েত স্বেচ্ছায়  করে থাকে সেগুলি হল - রাস্তা আলোকিত করা, বৃক্ষরোপণ ও বনসম্পদ সংরক্ষণ, পুকুর ও জলাশয় খনন, বাজার, হাট ও মেলা আয়োজন এবং হস্তশিল্প সামগ্রী প্রদর্শন ও বিক্রির ব্যবস্থা করা।
3. অর্পিত দায়িত্বসমূহ : রাজ্য সরকার কর্তৃক হস্তান্তরিত জনহিতকর কাজের দায়িত্ব পালন করা। যদি রাজ্য সরকার কোনো কর্তৃপক্ষকে কর্মসংস্থান বৃদ্ধির প্রকল্পের দায়িত্ব দেয়, গ্রাম পঞ্চায়েত তা যথাযথভাবে সম্পন্ন করবে।
4. আরোপিত ক্ষমতাসমূহ : আরোপিত ক্ষমতাসমূহ কাজগুলি গ্রাম পঞ্চায়েত গ্রামীণ স্বাস্থ্যকেন্দ্র, প্রসূতিসদন ও শিশুমঙ্গল কেন্দ্র স্থাপন ও পরিচালনা করতে পারে, পতিত জমি উদ্ধার ও চাষের ব্যবস্থা করতে পারে, সামাজিক বন সৃজন ও কৃষি খামার প্রস্তুত করতে পারে, এবং সামাজিক, কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষা প্রদানের ব্যবস্থা করতে পারে।
5. নিয়ন্ত্রণমূলক দায়িত্বসমূহ : গ্রাম পঞ্চায়েত নবনির্মিত গৃহের কাঠামোগত পরিবর্তনের অনুমতি দেয়, শুল্ক নির্ধারণ ও আরোপ করে, ফি সংগ্রহ করে, এবং মোটরচালিত পাম্পের মাধ্যমে  সেচের কাজে ব্যবহৃত নলকূপ রেজিস্ট্রেশন করে।

4. পৌরসভার ক্ষমতা ও কার্যাবলি আলোচনা করো। [4]
উত্তর : পৌরসভার ক্ষমতা ও কার্যাবলি সম্পর্কে ১৯৯৩ খ্রিস্টাব্দে পশ্চিমবঙ্গ পৌর আইনের ষষ্ঠ অধ্যায়ের ৬৩ থেকে ৬৬নং ধারায় বিস্তারিত উল্লেখ রয়েছে। পৌরসভার ক্ষমতা ও কার্যাবলি তিন ভাগে ভাগ করা যায় - বাধ্যতামূলক কাজ, স্বেচ্ছাধীন কাজ এবং অর্পিত কাজ। এইগুলি সম্পর্কে নিচে বিস্তারিত আলোচনা করছি -
ক্ষমতা ও কার্যাবলি :
1. বাধ্যতামূলক কাজ : পশ্চিমবঙ্গ পৌর আইনের ৬৩ নং ধারায় পৌরসভার বাধ্যতামূলক কার্যাবলি উল্লেখ করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে পূর্ত সংক্রান্ত কাজ, নগর উন্নয়ন পরিকল্পনা, প্রশাসনিক কাজ এবং জনস্বাস্থ্য সংক্রান্ত কার্য। এরকম কাজের বেশ কয়েকটি উদাহরণ হল - জনসাধারণের শৌচাগার, রাস্তাঘাট, সেতু ও সাবওয়ে নির্মাণ ও রক্ষণাবেক্ষণ, স্বাস্থ্যকর পানীয় জল সরবরাহ, টিকাকরণ কর্মসূচি পরিচালনা, নগর পরিকল্পনা প্রণয়ন করা প্রভৃতি।
2. স্বেচ্ছাধীন কাজ : পশ্চিমবঙ্গ পৌর আইনের ৬৪ নং ধারায় পৌরসভার স্বেচ্ছাধীন কাজগুলি উল্লেখ করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে জনকল্যাণ, শিক্ষা এবং উন্নয়ন সংক্রান্ত কাজ। এরকম কাজের বেশ কয়েকটি উদাহরণ হল - প্রাকৃতিক বিপর্যয় বা দুর্ভিক্ষের সময় ত্রাণ বিতরণ, জনগণের স্বার্থে ডেয়ারি স্থাপন, গুণী ব্যক্তিদের মূর্তি ও চিত্র স্থাপন, গৃহহীনদের আশ্রয় দেওয়া, এবং কুটির শিল্পে সহায়তা প্রদান করা।
ক্ষুদ্র
3. অর্পিত কাজ : রাজ্য সরকার কর্তৃক পৌরসভাকে বেশ কিছু কাজ সম্পাদন করতে হয়, এই কাজগুলি অর্পিত কাজ হিসেবে পরিচিত। এই কাজের জন্য রাজ্য সরকার প্রয়োজনীয় অর্থ ও কর্মী প্রদান করে। এই অর্পিত কাজের মধ্যে রয়েছে - নগর ও গ্রামীণ পরিকল্পনা রূপায়ণ, জল সরবরাহ ও স্যানিটেশন ব্যবস্থা, নগর উন্নয়ন পরিকল্পনা, পরিবহন ব্যবস্থার উন্নয়ন, কর্মসংস্থান সংক্রান্ত কর্মসূচি প্রস্তুত করা, এবং জনস্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণের ব্যবস্থা করা।

5. ভারতের সংবিধানের ৪২তম সংশোধনীকে 'Mini Constitution' বা 'সংবিধানের ক্ষুদ্র সংস্করণ' কেন বলা হয়? [4]
উত্তর : ৪২তম সংবিধান সংশোধনী : ভারতের সংবিধানে একটি গুরুত্বপূর্ণ সংশোধনী হলো ১৯৭৬ খ্রিস্টাব্দের ৪২তম সংশোধনী। এটি ইন্দিরা গান্ধির আমলে, স্মরণ সিং-এর নেতৃত্বাধীন কমিটির সুপারিশে সম্পন্ন হয়। সংবিধানের বিভিন্ন ধারায় ব্যাপক পরিবর্তন আনা হয় এবং বহু নতুন ধারা যুক্ত করা হয়। এজন্য এটিকে অনেকে 'Mini Constitution' বা 'সংবিধানের ক্ষুদ্র সংস্করণ' বলে অভিহিত করেন। এই সংশোধনী সংবিধানকে আরও কার্যকরী ও অন্তর্ভুক্তিমূলক করেছে এবং ভারতকে 'সমাজতান্ত্রিক' রাষ্ট্র হিসেবে ঘোষণা করেছে। ৪২তম সংবিধান সংশোধনীর কিছু গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন নিম্নে উল্লেখ করা হল -
1. প্রস্তাবনায় সংযোজন : এই সংশোধনীর মাধ্যমে সংবিধানের প্রস্তাবনায় ‘সমাজতান্ত্রিক’ ও ‘ধর্মনিরপেক্ষ’ শব্দ দুটি যুক্ত করে ভারতকে 'সার্বভৌম সমাজতান্ত্রিক ধর্মনিরপেক্ষ গণতান্ত্রিক সাধারণতন্ত্র' হিসেবে ঘোষণা করা হয়। এছাড়া ‘সংহতি’ শব্দটিও সংযোজন করা হয়।
2. নির্দেশমূলক নীতি সংযোগ : এই সংশোধনের মাধ্যমে মৌলিক অধিকারের সঙ্গে নির্দেশমূলক নীতিগুলি যুক্ত করা হয়। সংশোধনী অনুযায়ী, নির্দেশমূলক নীতি বাস্তবায়নের সময় যদি সাম্যের অধিকার বা স্বাধীনতার অধিকার লঙ্ঘিত হয়, তা অবৈধ নয়। এছাড়া শিশু নিরাপত্তা, প্রাকৃতিক নিরাপত্তা, দরিদ্রদের বিনামূল্যে আইনি সহায়তা ইত্যাদি নির্দেশমূলক নীতি সংযোজিত হয়।
3. মৌলিক কর্তব্য সংযোজন : সংবিধানের চতুর্থ অধ্যায়ে 'ক' অংশ (Part IV-A) যুক্ত করে ভারতের নাগরিকদের ১০টি মৌলিক কর্তব্য অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
4. সপ্তম তফসিলে পরিবর্তন : রাজ্য তালিকাভুক্ত বিষয় থেকে বন সংরক্ষণ ও শিক্ষা সরিয়ে যুগ্ম তালিকার অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
১৯৭৮ খ্রিস্টাব্দে ৪৪তম সংবিধান সংশোধনীতে ৪২তম সংশোধনীর অনেক পরিবর্তন পূর্বাবস্থায় ফিরিয়ে আনা হয়। মূলত উপরে উল্লেখিত এইসব কারণের জন্যই ভারতের সংবিধানের ৪২তম সংশোধনীকে 'Mini Constitution' বা 'সংবিধানের ক্ষুদ্র সংস্করণ' বলা হয়।
🔹 লেখকের শেষ মন্তব্য :
দ্বাদশ শ্রেণির চতুর্থ সেমিষ্টার রাষ্ট্রবিজ্ঞানের ষষ্ঠ অধ্যায় : "সংবিধান সংশোধন এবং স্থানীয় স্বায়ত্তশাসন" থেকে 4 নম্বর মানের আরো অনেকগুলি খুব গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন উত্তর আছে। সেগুলি পেতে হলে আমাদের WB Semester Team প্রকাশিত দ্বাদশ শ্রেণির চতুর্থ সেমিস্টার সাজেশন ই-বুকগুলি (PDF) নিতে হবে। সাজেশন ই-বুক সম্পর্কে জানতে Menu Option এ ক্লিক করো বা আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করুন।
File Details :
PDF Name : ষষ্ঠ অধ্যায় : সংবিধান সংশোধন এবং স্থানীয় স্বায়ত্তশাসন PDF
Size : 1 MB
No. of Pages : 2
Mode : Read-only (Online)
Download : Coming Soon

আরো পড়ুন প্রশ্নোত্তর
1. চতুর্থ অধ্যায় : ভারত সরকারের বিভিন্ন বিভাগ PDF Click here
2. ডাকঘর নাটকের প্রশ্ন উত্তর PDF Click here
3.পঞ্চম অধ্যায় : সমকালীন ভারতে নাগরিক.. PDF Click here
4. তৃতীয় অধ্যায় : বিশ্বায়ন PDF Click here



Regards
WB Semester Team 
📞 & 💬 9883566115

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.