ক্লাস 12 ইতিহাস তৃতীয় অধ্যায় : বিদ্রোহ এবং ব্রিটিশরাজ
1. ১৮৫৭-এর বিদ্রোহের সূচনা কীভাবে হয়? [HS Model Question]
উত্তর : ভূমিকা : ব্রিটিশ কোম্পানির শাসনের কারণে ভারতীয়দের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে অর্থনৈতিক, সামাজিক, রাজনৈতিক, ধর্মীয় এবং সৈন্যদের পেশাগত অসন্তোষ জমে ছিল। এই অসন্তোষ থেকেই ১৮৫৭ সালের বিদ্রোহের সূচনা হয়। ইতিহাসবিদ সুমিত সরকার বলেছেন, এই বিদ্রোহের মূল কারণ ছিল ইংরেজ কোম্পানির শাসনব্যবস্থা নিজেই।
১৮৫৭-এর বিদ্রোহের সূচনা :
1. বিদ্রোহের পূর্বাভাস : ১৮৫৭ সালের ২৯ মার্চ ব্যারাকপুর সেনাছাউনিতে মঙ্গল পাণ্ডে বিদ্রোহের সূচনা করেন। তিনি এক ইংরেজ কর্নেলকে হত্যা করার জন্য ফাঁসিতে ঝুলেন। তাঁর মৃত্যুর ফলে ভারতীয় সিপাহিদের মধ্যে প্রবল রাগ ও উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। এরপর আম্বালা, লখনউ ও মিরাটের সেনাছাউনিতে একের পর এক হিংসাত্মক ঘটনা ঘটে।
2. বিদ্রোহের সূচনা : মিরাট সেনাছাউনির সৈন্যরা শেষ পর্যন্ত একত্রিত হয়ে বিদ্রোহ শুরু করেন।
i. ২৪ এপ্রিল ৯০ জন সিপাহি এনফিল্ড রাইফেল ব্যবহার করতে অস্বীকার করলে সরকার তাদের বন্দি করে। এর প্রতিবাদে অন্য সিপাহিরা ১০ মে খোলাখুলি বিদ্রোহ করে।
ii. বিদ্রোহীরা জেল ভেঙে বন্দি সাথীদের মুক্ত করে এবং ইংরেজ প্রহরীদের হত্যা করে।
iii. ১১ মে তারা দিল্লির দিকে যাত্রা করে এবং মোগল সম্রাট বাহাদুর শাহ জাফরকে ‘হিন্দুস্তানের সম্রাট’ ঘোষণা করে।
iv. দিল্লি থেকে বিদ্রোহের আগুন ছড়িয়ে পড়ে উত্তর-পশ্চিম প্রদেশের বিভিন্ন সেনাছাউনিতে।
v. এই বিদ্রোহ অযোধ্যায় গণআন্দোলনে রূপ নেয় এবং দিল্লি থেকে কানপুর ও এলাহাবাদ পর্যন্ত বিদ্রোহ দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে।
উপসংহার : ১৮৫৭ সালের বিদ্রোহ কোনো হঠাৎ ঘটে যাওয়া ঘটনা ছিল না। এর পেছনে বহু বছরের অন্যায়, শোষণ ও অসন্তোষ জমে ছিল। প্রথমে সিপাহিরা বিদ্রোহ শুরু করলেও পরে সাধারণ মানুষও এতে অংশ নেয়। তাই একে ‘মহাবিদ্রোহ’ বলা হয়।
2. ১৮৫৭ খ্রিস্টাব্দের বিদ্রোহের মূল কারণগুলি লেখো।
উত্তর : ভূমিকা : ১৮৫৭ সালের মহাবিদ্রোহ শুরু করেছিলেন কোম্পানির ভারতীয় সিপাহিরা। কিন্তু এই বিদ্রোহ শুধু সিপাহিদের মধ্যে সীমিত ছিল না; সাধারণ মানুষও এতে যোগ দেয়। তাই বোঝা যায়, এই বিদ্রোহ জনসমর্থনের ভিত্তিতে সংঘটিত হয়েছিল।
১৮৫৭ খ্রিস্টাব্দের বিদ্রোহের মূল কারণ :
1. অর্থনৈতিক শোষণ : ইংরেজ সরকারের অর্থনৈতিক শোষণ ভারতীয়দের চরম দারিদ্র্যের মধ্যে ফেলে দেয়। তাদের ভূমিরাজস্ব নীতিতে (চিরস্থায়ী, রায়তওয়ারি, মহলওয়ারি) কৃষকদের ওপর অতিরিক্ত খাজনার বোঝা চাপানো হয়। খাজনা দিতে না পেরে কৃষকরা মহাজনের কাছ থেকে চড়া সুদে ঋণ নেয় এবং শোষণের শিকার হয়। শশীভূষণ চৌধুরীর মতে, মহাজনরা অজ্ঞ কৃষকদের ঠকাত এবং আদালতও তাদের পক্ষ নিত। এছাড়া কোম্পানির বাণিজ্যনীতি ভারতের ঐতিহ্যবাহী বস্ত্রশিল্প ধ্বংস করে দেয়, ফলে বহু মানুষ কর্মহীন হয়ে বিদ্রোহে যোগ দেয়।
2. সিপাহিদের অসন্তোষ : ভারতীয় সিপাহিদের পেশাগত অসন্তোষও বিদ্রোহের একটি প্রধান কারণ ছিল। শ্বেতাঙ্গদের তুলনায় তাদের বেতন ছিল কম এবং পদোন্নতির সুযোগও প্রায় ছিল না। ইংরেজ অফিসাররা তাদের সম্মান দিত না, বরং ‘নিগার’ বা ‘কালা আদমি’ বলে অপমান করত। এই অবমূল্যায়ন সিপাহি ও সাধারণ ভারতীয়দের মধ্যে প্রবল ক্ষোভের সৃষ্টি করে।
3. ধর্মীয় ভয় : কোম্পানির ধর্মীয় হস্তক্ষেপে ভারতবাসীর মনে ভয় ও সন্দেহ সৃষ্টি হয়। ম্যাঙ্গেলস্ ঘোষণা করেছিলেন যে, ভারতকে খ্রিস্টান দেশে পরিণত করতে হবে। খ্রিস্টান মিশনারিদের প্রচারাধিকার হিন্দু-মুসলমান উভয়ের মধ্যেই ধর্মনাশের আশঙ্কা বাড়ায়। হিন্দু সিপাহিদের তিলক কাটা, মুসলিমদের দাড়ি রাখা নিষিদ্ধ করা ও চামড়ার টুপি পরা বাধ্যতামূলক হওয়ায় অসন্তোষ ছড়ায়। এছাড়া ১৮৫৬ সালে বিদেশযাত্রা বাধ্যতামূলক করা হলে ধর্মনাশের ভয় আরও বৃদ্ধি পায়।
4. রাজনৈতিক ক্ষোভ : লর্ড ডালহৌসির ‘স্বত্ববিলোপ নীতি’ দেশের রাজাদের অধিকার কেড়ে নিত। সাতারা, ঝাঁসি, নাগপুরসহ বহু রাজ্য ব্রিটিশ শাসনের অন্তর্ভুক্ত হয়। এতে রাজন্যবর্গ ও তাদের ওপর নির্ভরশীল মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত ও ক্ষুব্ধ হয়। অযোধ্যাকেও অযথা গ্রাস করা হলে স্থানীয়রা ইংরেজদের বিশ্বাসঘাতকতা মানতে পারে নি।
উপসংহার : ১৮৫৭ সালের বিদ্রোহ কোনো আকস্মিক ঘটনা ছিল না। এর পেছনে অর্থনৈতিক শোষণ, সিপাহিদের অসন্তোষ, ধর্মনাশের ভয় এবং রাজনৈতিক অবিচারের মতো দীর্ঘদিনের অসন্তোষ কাজ করেছিল।
3. ১৮৫৭ খ্রিস্টাব্দের বিদ্রোহের গুরুত্ব বা প্রভাব লেখো।
উত্তর : ভূমিকা : ১৮৫৭ সালের বিদ্রোহ শেষপর্যন্ত ব্যর্থ হলেও এটি কোম্পানির শাসনের বিরুদ্ধে প্রথম বড় গণআন্দোলন ছিল। ভারতের মুক্তিসংগ্রামের ইতিহাসে এর গুরুত্ব অসীম।
১৮৫৭ খ্রিস্টাব্দের বিদ্রোহের গুরুত্ব বা প্রভাব :
1. জাতীয়তাবাদী প্রেরণা : কে এম পানিক্করের মতে, ১৮৫৭ সালের বিদ্রোহ যদিও সীমিত ছিল, তবুও এটি বিদেশি শাসনের বিরুদ্ধে প্রথম বড় সম্মিলিত প্রতিবাদ ছিল। সাধারণ মানুষের এই শাসকবিরোধী জাগরণ পরবর্তীতে জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের প্রেরণা জুগিয়েছিল।
2. কোম্পানির শাসনের সমাপ্তি : ১৮৫৭ সালের বিদ্রোহের সঙ্গে সঙ্গে ভারতে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির শাসন শেষ হয়। এটি ইংরেজ ও ব্রিটিশ সরকারের কাছে প্রমাণ করেছিল যে, একটি বাণিজ্যিক কোম্পানির হাতে পুরো দেশের শাসন রাখা ঠিক নয়।
3. ব্রিটেনের প্রত্যক্ষ শাসনের প্রবর্তন : বিদ্রোহের পরে ব্রিটিশ পার্লামেন্ট ‘অ্যাক্ট ফর দ্য বেটার গভর্নমেন্ট অফ ইন্ডিয়া’ পাশ করে। এই আইনে রানি ভিক্টোরিয়াকে ‘ভারতের সম্রাজ্ঞী’ ঘোষণা করা হয় এবং একজন ব্রিটিশ মন্ত্রীসভার সদস্যকে ‘ভারত-সচিব’ করে ভারতের শাসন নিয়ন্ত্রণের দায়িত্ব দেওয়া হয়।
4. মহারানির ঘোষণাপত্র : ভারতবাসীর ক্ষোভ প্রশমনের জন্য মহারানির ঘোষণাপত্র জারি করা হয়। এতে বলা হয় - লর্ড ডালহৌসির 'স্বত্ববিলোপ নীতি' বাতিল হবে, সরকারি নিয়োগ শুধুমাত্র যোগ্যতার ভিত্তিতে হবে এবং দেশীয় রাজ্যের অভ্যন্তরীণ কাজে হস্তক্ষেপ করা হবে না।
5. সামন্তব্যবস্থার পুনর্জাগরণ : ব্রিটিশ সরকার বুঝতে পারে যে, ভারতীয় সামন্তব্যবস্থা বজায় রাখলে তাদের পক্ষে সুবিধা হবে। তাই দেশীয় রাজাদের ক্ষমতাচ্যুত না করে তোষণ করে ইংরেজদের মিত্র বানায় এবং নির্বিচার শাসন চালানোর সুযোগ তৈরি করে।
উপসংহার : ১৮৫৭ সালের বিদ্রোহ কোম্পানি শাসনের ভীতি সৃষ্টি করেছিল। ব্রিটিশ সরকার বুঝতে পারে, একটি কোম্পানির হাতে ভারতের মতো বিশাল দেশের শাসন রাখা নিরাপদ নয়। তাই ভারতে কোম্পানির শাসন শেষ হয়।
4. ১৮৫৭ খ্রিস্টাব্দের বিদ্রোহের ব্যর্থতার কারণগুলি উল্লেখ করো।
অথবা,
১৮৫৭ খ্রিস্টাব্দের বিদ্রোহ ব্যর্থ হয়েছিল কেন ?
উত্তর : ভূমিকা : ১৮৫৭ সালের বিদ্রোহ ছিল ব্রিটিশ শাসনের বিরুদ্ধে ভারতীয়দের প্রথম বড় গণ-প্রতিবাদ। শুরুতে কোম্পানির সেনাবাহিনীর ভারতীয় সিপাহিরা নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। কিন্তু অল্প সময়ের মধ্যে এই বিদ্রোহে সাধারণ মানুষ, জমিদার ও তালুকদাররা অংশ নেন। তীব্রতা থাকলেও কিছুদিনের মধ্যেই বিদ্রোহ থমকে যায়। এর ব্যর্থতার কারণ ছিল বিভিন্ন ত্রুটি ও দুর্বলতা। নিচে আমি বিস্তারিত আলোচনা করছি -
১৮৫৭ খ্রিস্টাব্দের বিদ্রোহের ব্যর্থতার কারণ :
1. নেতৃত্বের ঘাটতি : ১৮৫৭ সালের বিদ্রোহে কোনো কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব ছিল না। মোগল সম্রাট বাহাদুর শাহকে ‘ভারত সম্রাট’ করা হলেও তাঁর অস্থিরচিত্ততা ও বিশ্বাসযোগ্যতা সম্পর্কে অন্যান্য নেতৃবৃন্দ যথেষ্ট সন্দিহান ছিলেন। রানি লক্ষ্মীবাঈ ও নানাসাহেব সাহসী ছিলেন, কিন্তু পুরো দেশকে একত্র করে আন্দোলন চালানোর ক্ষমতা ছিল না। তাই বিদ্রোহ ব্যর্থ হয়।
2. পরিকল্পনার অভাব : কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব না থাকায় বিদ্রোহকে পরিকল্পিতভাবে চালানো যায়নি। বিভিন্ন নেতা নিজের অঞ্চলে আলাদাভাবে লড়াই করেছিলেন। তাই ইংরেজ সেনা সহজেই বিদ্রোহ দমন করতে সক্ষম হয়।
3. রণকৌশলের ত্রুটি : নেতারা সঠিক কৌশল নির্ধারণ করতে পারেননি। জোটবদ্ধ সম্মুখ যুদ্ধে বিদ্রোহীরা ব্যর্থ হন। গেরিলা কৌশল অবলম্বন করলে তারা সফল হতেন, যেমন কুনওয়ার সিং ও তাঁতিয়া তোপী করেছিলেন। রানি লক্ষ্মীবাঈ ও অন্যান্যরা এই কৌশল ব্যবহার না করায় ব্যর্থ হন।
4. নেতৃত্বের স্বার্থচিন্তা : বিদ্রোহের নেতারা একক লক্ষ্য নিয়ে অংশ নেননি। বাহাদুর শাহ দিল্লির সিংহাসনে কেন্দ্রীয় মোগল ক্ষমতা পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে চেয়েছিলেন। নানাসাহেব পেশোয়ারে স্বাধীন ও সার্বভৌম ক্ষমতা ফিরে পেতে চেয়েছিলেন। রানি লক্ষ্মীবাঈ ঝাঁসির স্বাধীনতা অর্জনের জন্য লড়েছিলেন। এই স্বতন্ত্র স্বার্থচিন্তা বিদ্রোহকে দুর্বল করে দিয়েছে।
5. অস্ত্রের দুর্বলতা : একদিকে ব্রিটিশ বাহিনী ছিল উন্নত ও আধুনিক অস্ত্রশস্ত্রসম্পন্ন। অন্যদিকে বিদ্রোহীদের কাছে ছিল পুরোনো ও অনুন্নত অস্ত্র। তাই ব্রিটিশ বাহিনী সহজেই বিদ্রোহীদের দমন করতে সক্ষম হয়।
উপসংহার : আলোচ্য আলোচনা পরিশেষে বলতে পারি উপরে উল্লেখিত কারণগুলির জন্যই এই বিদ্রোহ ব্যর্থ হয়েছিল। এই কারণগুলির কারণে বিদ্রোহটি আঞ্চলিক ও অপরিকল্পিত থেকে যায় এবং শেষ পর্যন্ত সফল হতে পারেনি।
5. টীকা লেখো : মহারানির ঘোষণাপত্র (১৮৫৮ খ্রিস্টাব্দ)।
উত্তর : ভূমিকা : ১৮৫৭ খ্রিস্টাব্দের মহাবিদ্রোহের ফলে কোম্পানির শাসন শেষ হয়ে যায় এবং শাসনতান্ত্রিক ক্ষেত্রেও বড় পরিবর্তন আসে। ১৮৫৮ সালে ভারতশাসন আইন প্রবর্তিত হয় এবং ভারতের শাসনভার ব্রিটিশ সম্রাজ্ঞী ভিক্টোরিয়ার হাতে অর্পিত হয়। তিনি এক ঘোষণাপত্রে ভারতের শাসনব্যবস্থার নতুন রূপরেখা প্রকাশ করেন, যা ‘মহারানি ভিক্টোরিয়ার ঘোষণাপত্র’ নামে পরিচিত
(ক) মহারানির ঘোষণাপত্রের প্রধান বিষয়বস্তু :
১. ডালহৌসি প্রবর্তিত স্বত্ববিলোগ নীতি বাতিল হবে।
২. ভারতীয়রা ধর্মীয় স্বাধীনতা পাবেন।
৩. দেশীয় রাজ্যগুলি পুনরায় দত্তক পুত্র গ্রহণ করতে পারবে।
৪. সরকার ভারতীয়দের সামাজিক ও ধর্মীয় বিষয়ে হস্তক্ষেপ করবে না।
৫. ভারতে নতুন ব্রিটিশ সাম্রাজ্য বিস্তার করা হবে না।
৬. যোগ্য ভারতীয় নাগরিকরা সরকারি চাকুরিতে সমানাধিকার পাবেন।
৭. সরাসরি হত্যাকাণ্ডে জড়িত বিদ্রোহীদের ছাড়া বাকি বিদ্রোহীরা মুক্তি পাবেন।
৮. কোম্পানি ও দেশীয় রাজ্যগুলির পূর্ববর্তী চুক্তি ও সন্ধি মেনে চলা হবে।
(খ) ত্রুটি : মহারানি ভিক্টোরিয়ার ঘোষিত ভারতশাসন সংক্রান্ত প্রস্তাবগুলি বাস্তবে কার্যকর করা যায়নি। এগুলো শুধুমাত্র ঘোষণাপত্রে সীমাবদ্ধ ছিল। সমানাধিকার ও সমআচরণের প্রতিশ্রুতি বাস্তবে রক্ষা করা সম্ভব হয়নি। ফলে ভারতীয়দের মধ্যে পরবর্তীতে পুনরায় অসন্তোষ ও ক্ষোভ জন্ম নেয়।
উপসংহার : এই ঘোষণাপত্র ছিল ১৮৫৭ সালের মহাবিদ্রোহের তীব্র উত্তাপ নিবারণের একটি কৌশল। ঘোষণাপত্রে যে প্রতিশ্রুতিগুলো দেওয়া হয়েছিল - সমাজ ও ধর্মে হস্তক্ষেপ না করা, যোগ্য ভারতীয়দের সরকারি চাকুরিতে অংশদানের সুযোগ ইত্যাদি। সেগুলো ব্যাপকভাবে বাস্তবায়িত হয়নি এবং পরবর্তীতে ভারতীয়দের মধ্যে অসন্তোষ বাড়তে থাকে। তবে এ কথা সত্য যে এই ঘোষণাপত্র ভারতে ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের ভিত্তিস্থাপন করেছিল।
🔹 লেখকের শেষ কথা :
দ্বাদশ শ্রেণির চতুর্থ সেমিস্টার ইতিহাস তৃতীয় অধ্যায় : 'বিদ্রোহ এবং ব্রিটিশরাজ' এই অধ্যায় থেকে আমাদের সাজেশন E-Book(PDF)গুলিতে আরো অনেকগুলি 3 নম্বর মানের ও 4 নম্বর মানের খুব গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন উত্তর আছে। সেগুলি পেতে হলে আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করুন অথবা উপরের Menu Option ক্লিক করে দেখতে পারেন।
File Details :
PDF Name : ক্লাস 12 বিদ্রোহ এবং ব্রিটিশরাজ PDF
| আরো পড়ুন | প্রশ্নোত্তর |
|---|---|
| 1. চতুর্থ সেমিস্টার বাংলা প্রশ্ন উত্তর | Click here |
| 2. চতুর্থ সেমিস্টার রাষ্ট্রবিজ্ঞান প্রশ্ন উত্তর | Click here |
WB Semester Team
📞 & 💬 9883566115
