WB Semester Display Ads-1

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

ক্লাস 11 ভারতীয় শিক্ষার বিকাশে ভারতীয় সমাজ সংস্কারকদের অবদান | Class 11 2nd Semester Education Question Answer

0

Unit : 2 ভারতীয় শিক্ষার বিকাশে ভারতীয় সমাজ সংস্কারকদের অবদান


ভূ(caps)মিকা : একাদশ শ্রেণির দ্বিতীয় সেমিষ্টার শিক্ষাবিজ্ঞান বিষয়ে 40 নম্বরের লিখিত পরীক্ষা হবে। এই 40 নম্বর এর মধ্যে শিক্ষাবিজ্ঞান সিলেবাসের Group-D Unit : 2 "ভারতীয় শিক্ষার বিকাশে ভারতীয় সমাজ সংস্কারকদের অবদান" থেকে মোট 14 নম্বর আসবে। অর্থাৎ 2 নম্বর মানের 1 টি প্রশ্ন এবং 5 নম্বর মানের 1 টি প্রশ্নের উত্তর করতে হবে। তাহলে মোট 2+5=7 নম্বর। তোমাদের সুবিধার জন্য একাদশ শ্রেণির দ্বিতীয় সেমিষ্টার শিক্ষাবিজ্ঞানের Group-D Unit : 2 "ভারতীয় শিক্ষার বিকাশে ভারতীয় সমাজ সংস্কারকদের অবদান" অধ্যায় থেকে 5 নম্বর মানের খুব গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন উত্তরসহ PDF নিচে দিলাম। তবে একাদশ শ্রেণির দ্বিতীয় সেমিষ্টার সাজেশন ই-বুকগুলি(PDF) সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চাইলে আমাদের ওয়েবসাইটের Menu Option এ ক্লিক করে দেখতে পারেন। 
Class 11 2nd Semester Education Question Answer

🔹 একাদশ শ্রেণির দ্বিতীয় সেমিস্টার শিক্ষাবিজ্ঞান প্রশ্ন উত্তর

[প্রতিটি প্রশ্নের মান : 5] 
1. ভারতীয় সমাজ সংস্কারক হিসেবে রাজারামমোহনের অবদান সংক্ষেপে আলোচনা করো। [XI-2007]
উত্তর : ভারতের নবজাগরণের অন্যতম পথপ্রদর্শক ছিলেন রাজা রামমোহন রায়। সমাজের অন্ধবিশ্বাস, কুসংস্কার ও অজ্ঞতা দূর করে তিনি একটি নতুন চিন্তাধারার সূচনা করেছিলেন। প্রাচ্য ও পাশ্চাত্য শিক্ষার সমন্বয়ের মাধ্যমে তিনি আধুনিক ও প্রগতিশীল ভারতের ভিত্তি স্থাপন করেন। তাই সমাজ-সংস্কারক হিসেবে রাজা রামমোহনের অবদান ভারতীয় ইতিহাসে অনন্য। এখন আমি নিচে তার অবদান সম্পর্কে আলোচনা করছি -
ভারতীয় সমাজ-সংস্কারক হিসেবে রাজা-রামমোহনের অবদান : 
1. সতীদাহ প্রথা নিষিদ্ধকরণ : স্বামীর মৃত্যুর পর স্ত্রীকে জ্বলন্ত চিতায় পুড়িয়ে মারা হত। এই অমানবিক প্রথার বিরুদ্ধে রাজা রামমোহন রায় আন্দোলন শুরু করেন। তাঁর প্রচেষ্টার ফলেই ১৮২৯ সালে লর্ড বেন্টিঙ্ক আইন করে সতীদাহ প্রথা বন্ধ করেন।
2. কুসংস্কার দূরীকরণ : রামমোহন রায় সমাজের কুসংস্কারের বিরুদ্ধে ছিলেন। তিনি বাল্যবিবাহ, বহুবিবাহ, কন্যাপণ, জাতিভেদ ও অস্পৃশ্যতার মতো প্রথার প্রতিবাদ করেন। এসব অন্যায় প্রথা বন্ধের জন্য সংবাদপত্রের মাধ্যমে তিনি মানুষকে সচেতন করতেন।
3. নারীর সামাজিক মর্যাদা প্রতিষ্ঠা : রাজা রামমোহন রায় শুধু নারীদের জীবন বাঁচানোর চেষ্টা করেননি, তাঁদের সমাজে সম্মানের সঙ্গে প্রতিষ্ঠিত করতেও চেয়েছিলেন। তিনি নারী-পুরুষের সমান অধিকার প্রতিষ্ঠা, বিধবাবিবাহ প্রচলন, স্ত্রীশিক্ষার প্রসার এবং বাল্যবিবাহ ও বহুবিবাহ বন্ধের জন্য কাজ করেছিলেন। হিন্দু নারীর অধিকার নিয়ে তিনিই প্রথম মত প্রকাশ করেন।
4. জাতিভেদ প্রথার বিরোধিতা : রামমোহন রায় জাতিভেদ প্রথার তীব্র বিরোধী ছিলেন। তাঁর মতে, এই প্রথা সমাজকে শ্রেণিতে ভাগ করে দেয়। তাই জাতীয় ঐক্য প্রতিষ্ঠার জন্য তিনি এই প্রথার বিরুদ্ধে কাজ করেছিলেন। তিনি জাতিভেদ প্রথার বিরোধিতা তুলে ধরতে বৌদ্ধগ্রন্থ 'বজ্রসূচির' অনুবাদও প্রকাশ করেন।
5. নারীশিক্ষার প্রচার : রাজা রামমোহন রায় বিশ্বাস করতেন, সমাজের উন্নতির জন্য নারীশিক্ষা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। নারীশিক্ষা ছাড়া সমাজ সুস্থ ও উন্নত হতে পারবে না। তাই নারীমুক্তি ও নারীশিক্ষার আন্দোলনে তিনিই পথপ্রদর্শক ছিলেন।
উপসংহার : রাজা রামমোহন রায় সমাজের অন্ধবিশ্বাস, কুসংস্কার ও অব্যবস্থার বিরুদ্ধে কাজ করে সমাজ সংস্কারের পথে অগ্রণী ভূমিকা রাখেন। তাঁর চিন্তা ও উদ্যোগ ভারতীয় সমাজকে নতুন দিশা দেখিয়েছে।

2. শিক্ষাসংস্কারে রামমোহনের অবদান আলোচনা করো। [XI-2007] 
অথবা, 
ভারতবর্ষে রামমোহন রায় আধুনিক শিক্ষার অগ্রদূত আলোচনা করো। [XI-2009]
অথবা,
শিক্ষাক্ষেত্রে রাজা রামমোহন রায়ের অবদান সংক্ষেণে ব্যাখ্যা করো। [XI-2011]
উত্তর : রামমোহন রায় (১৭৭২-১৮৩৯) উনবিংশ শতকের বাংলায় নবজাগরণের অগ্রদূত ছিলেন। তিনি আধুনিক শিক্ষার প্রচার, সমাজ সংস্কার ও ধর্মীয় উদারতার প্রচেষ্টায় বিশেষ অবদান রেখেছেন। রামমোহন রায় ভারতবর্ষে আধুনিক যুগের সূচনাকারী হিসেবে পরিচিত।
শিক্ষাক্ষেত্রে রাজা রামমোহন রায়ের অবদান : 
1. পাশ্চাত্য শিক্ষাবিস্তার : রামমোহন রায় পাশ্চাত্য শিক্ষার প্রচারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন। ১৮২৮ সালে তিনি কলকাতায় ইংরেজি স্কুল স্থাপন করেন, পরে সিটি কলেজ নামে পরিচিত হয়। এছাড়া হিন্দু কলেজ প্রতিষ্ঠা ও স্কুল সোসাইটিতে তার অবদান ছিল। পাশ্চাত্য শিক্ষা প্রচারের পাশাপাশি দেশীয় শিক্ষাকেও তিনি গুরুত্ব দিয়েছিলেন।
2. পত্রপত্রিকা প্রকাশ : রামমোহন রায় ১৮১৫ থেকে ১৮৩০ সালের মধ্যে প্রায় ৩০টি পুস্তক-পুস্তিকা রচনা করেছিলেন। তিনি ১৮২১ সালে বাংলা সাপ্তাহিক ‘সম্বাদ কৌমুদী’ এবং ১৮২২ সালে প্রকাশ করেন একটি সাপ্তাহিক পত্রিকা 'মিরাৎ-উল-আখবর' যার অর্থ সংবাদ দর্পণ।
3. বিজ্ঞান শিক্ষার প্রচার : রামমোহন রায় মনে করতেন, বিজ্ঞান শিক্ষা বাড়ালে কুসংস্কার কমবে। তাই তিনি গণিত, দর্শন, রসায়ন, অস্থিবিদ্যা ও অন্যান্য বিজ্ঞানের জন্য ইউরোপীয় শিক্ষক নিয়োগের প্রস্তাব করেছিলেন।
4. অ্যাংলো-হিন্দু স্কুল ও বেদান্ত কলেজ স্থাপন : রামমোহন রায় ইংরেজি শিক্ষা ও প্রাচ্য-পাশ্চাত্য সভ্যতার সমন্বয়ের জন্য ১৮২২ সালে অ্যাংলো-হিন্দু স্কুল স্থাপন করেন। এছাড়া ১৮২৬ সালে মানিকতলায় বেদান্ত কলেজও স্থাপন করেন।
5. নারীশিক্ষা বিস্তার : রামমোহন রায় নারীশিক্ষার প্রবক্তা ছিলেন। তিনি প্রমাণ করেছিলেন যে বৈদিক যুগে নারীরা শিক্ষিত হত। নারীদের শিক্ষার জন্য তিনি বহু প্রতিষ্ঠান স্থাপন করেন এবং সমাজে পুরুষ ও মহিলাদের সমান মর্যাদা দেন।
উপসংহার : আলোচ্য আলোচনা পরিশেষে বলতে পারি শিক্ষাক্ষেত্রে রাজা রামমোহন রায়ের অবদান অপরিসীম।

3. নারীশিক্ষা বিস্তারে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের অবদান লেখো। [XI-2015]
উত্তর : উনিশ শতকে নারীশিক্ষার প্রসারে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর বিশেষ অবদান রেখেছেন। তাঁকে 'নারীশিক্ষা বিস্তারের পথিকৃৎ' বলা হয়।
নারীশিক্ষা প্রসারে বিদ্যাসাগরের অবদান :
1. নারীশিক্ষার প্রচার : বিদ্যাসাগর অভিভাবকদের বোঝাতেন যেন তারা মেয়েদের বেথুন স্কুলে পাঠান। তাঁর প্রচারের কারণে অনেক অভিজাত পরিবারের মেয়েরা স্কুলে পড়তে আসে। তিনি নারীশিক্ষার প্রচারের জন্য স্কুলের গাড়িতে লিখেছিলেন - কন্যাকে পুত্রের মতো পালন করে শিক্ষাদান করতে হবে।
2. গ্রামে বালিকা বিদ্যালয় স্থাপন : বিদ্যাসাগরের উদ্যোগে বাংলার গ্রামাঞ্চলে 35টি বালিকা বিদ্যালয় খোলা হয়। এতে প্রায় ১,৩০০ ছাত্রী পড়াশোনা করত। গ্রামে বালিকা বিদ্যালয় খুলে তিনি কুসংস্কারমুক্ত সমাজ গড়তে চেয়েছিলেন। এছাড়া তিনি মেট্রোপলিটন ইন্সটিটিউশন (বিদ্যাসাগর কলেজ)ও প্রতিষ্ঠা করেন।
3. বেথুন স্কুলে সহায়তা : জন এলিয়ট ড্রিংকওয়াটার বেথুন বাংলায় নারীশিক্ষার জন্য বিখ্যাত। তিনি 1849 সালে কলকাতায় একটি বালিকা বিদ্যালয় (পরে বেথুন স্কুল) প্রতিষ্ঠা করেন। বিদ্যাসাগর সেই কাজে তাঁকে সাহায্য করেন। 1850 সালে বিদ্যাসাগর ওই স্কুলের সম্পাদক হন।
4. গ্রামে নারীশিক্ষার বিস্তার : বিদ্যাসাগর নারীশিক্ষার প্রসারের জন্য শুধু বেথুন স্কুলে সীমাবদ্ধ থাকেননি। গ্রামে মেয়েদের শিক্ষার জন্য তিনি উদ্যোগী ছিলেন। 1857 সালে তিনি বর্ধমানের জৌগ্রামে প্রথম বালিকা বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন।
5. স্থানীয় সহযোগিতার মাধ্যমে বিদ্যালয় স্থাপন : এফ. হ্যালিডের সঙ্গে মিলিত হয়ে বিদ্যাসাগর সিদ্ধান্ত নেন, যে গ্রামে মানুষ বিদ্যালয়ের জন্য ঘর দিতে পারবেন, সেখানে মেয়েদের জন্য স্কুল খোলা হবে।
উপসংহার : বিদ্যাসাগর নারীশিক্ষার প্রসারে নানা উদ্যোগ নিয়েছিলেন। তিনি বেথুন স্কুলে সহায়তা করেছেন, গ্রামে বালিকা বিদ্যালয় স্থাপন করেছেন এবং অভিভাবকদের মেয়েদের পড়াশোনার জন্য উৎসাহকরেছেন। তার প্রচেষ্টা বাংলা সমাজে নারীশিক্ষার বিস্তার ঘটিয়েছে।

4. নারীশিক্ষা সম্প্রসারণের ক্ষেত্রে বেগম রোকেয়ার ভূমিকা লেখো।
অথবা, 
বেগম রোকেয়া নারী জাগরণের অগ্রদূত'- উক্তিটি ব্যাখ্যা করো। 
অথবা, 
নারীশিক্ষায় বেগম রোকেয়ার অবদান আলোচনা করো। 
উত্তর : ব্রিটিশ শাসিত ভারতের মুসলিম সমাজে মেয়েদের আধুনিক শিক্ষার সুযোগ খুব সীমিত ছিল। সেই সময়ে বেগম রোকেয়া নারীশিক্ষা ও নারী জাগরণের অগ্রদূত হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন। এখন আমি নিচে নারীশিক্ষায় বেগম রোকেয়ার অবদান কতখানি তা আলোচনা করছি -
নারীশিক্ষায় বেগম রোকেয়ার অবদান : 
1. ভাগলপুরে বালিকা বিদ্যালয় : দেশ ও জাতির স্বার্থে মুসলিম নারীসমাজের জাগরণের জন্য তিনি শিক্ষার প্রচার শুরু করেন এবং 1909 সালের 1 অক্টোবর ভাগলপুরে তিনি প্রথম মুসলিম বালিকাদের জন্য বিদ্যালয় স্থাপন করেন।
2. সাখাওয়াত মেমোরিয়াল গার্লস স্কুল : 1909 সালের শেষে বেগম রোকেয়া ভাগলপুর ত্যাগ করে কলকাতায় আসেন। 1911 সালের 16 মার্চ তিনি স্বল্পসংখ্যক ছাত্রী নিয়ে ১৩ নং ওয়ালিউল্লাহ লেনের একটি বাড়িতে সাখাওয়াত মেমোরিয়াল গার্লস স্কুল স্থাপন করেন, যা পরে উচ্চ ইংরেজি বিদ্যালয়ে পরিণত হয়।
3. মুসলিম মহিলা সমিতি প্রতিষ্ঠা : 1916 সালে বেগম রোকেয়া মুসলমান নারীসমাজের উন্নয়নের জন্য মুসলিম মহিলা সমিতি প্রতিষ্ঠা করেন। এর মাধ্যমে তিনি কুপ্রথা দূর করে নারীদের কল্যাণে কাজ করেন।
4. মুসলিম মহিলা ট্রেনিং স্কুল : সাখাওয়াত মেমোরিয়াল গার্লস স্কুলে শিক্ষিকার অভাব একটি বড় সমস্যা ছিল। তাই বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ প্রতি বছর বার্ষিক রিপোর্টে মুসলিম মহিলা শিক্ষিকাদের উপযুক্ত প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করার জন্য আবেদন জানিয়ে আসছিল। অবশেষে 1919 সালের শেষভাগে সরকার কলকাতায় একটি মুসলিম মহিলা ট্রেনিং স্কুল স্থাপন করে।
5. বঙ্গীয় নারীশিক্ষা সমিতির সম্মিলনী : 1926 সালে বঙ্গীয় নারীশিক্ষা সমিতির সম্মিলনীতে সভানেত্রীর ভাষণে বেগম রোকেয়া মুসলিম সমাজে বালিকা শিক্ষার অপ্রতুল অবস্থা ও প্রতিবন্ধকতা তুলে ধরেন। তিনি সমাজের নেতিবাচক মনোভাব দূর করার চেষ্টা করেন।
6. স্বদেশের শিক্ষা আন্দোলনে সমর্থন : বেগম রোকেয়া স্বদেশে শিক্ষার বিস্তার ও প্রচারের জন্য তার জীবন উৎসর্গ করেছিলেন। তিনি চাইতেন প্রত্যেক নারী শিক্ষিত হোক এবং সমাজে সমান সুযোগ পায়।
উপসংহার : বেগম রোকেয়া নারী শিক্ষার মাধ্যমে সমাজ সংস্কার ও নারী মুক্তির কাজ করেছেন। তার লেখা গল্প, কবিতা ও প্রবন্ধ সমাজ সচেতনতা এবং শিক্ষামূলক বার্তা বহন করে। সুতরাং নারীশিক্ষা সম্প্রসারণের ক্ষেত্রে তাঁর  ভূমিকা অপরিহার্য।

5. শিক্ষাক্ষেত্রে সাবিত্রীবাই ফুলের অবদান লেখো।
উত্তর : সাবিত্রীবাই ফুল ঊনবিংশ শতাব্দীর প্রথম ভারতীয় নারী শিক্ষিকা। তিনি মহারাষ্ট্রের দূরবর্তী অঞ্চলে নারীদের সমতা ও শিক্ষা বিস্তারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন। এখন আমি নিচে শিক্ষাক্ষেত্রে সাবিত্রীবাই ফুলের অবদান আলোচনা করছি -
শিক্ষাক্ষেত্রে সাবিত্রীবাই ফুলের অবদান : 
1. প্রথম নারীশিক্ষা প্রতিষ্ঠান : তিনি ও তাঁর স্বামী জ্যোতিরাও ফুলে 1848 সালে পুনের ভিদে ওয়াদায় মেয়েদের স্কুল স্থাপন করেন, যা ভারতীয়দের দ্বারা তৈরি প্রথম নারীশিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এরপর 1849 সালে সাবিত্রীবাই ও ফতিমা শেখ যৌথভাবে আরেকটি মেয়েদের বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন।
2. শিক্ষা সংক্রান্ত ট্রাস্ট : তিনি ও তাঁর স্বামীর যৌথ উদ্যোগে 1850 সালে পুনেতে দুটি শিক্ষা সংক্রান্ত ট্রাস্ট প্রতিষ্ঠা করেন। এর মাধ্যমে মাহার ও মঙ্গ সম্প্রদায়ের মানুষের শিক্ষার ব্যবস্থা করা হয়। পরে এই ট্রাস্টের অধীনে অনেক বিদ্যালয় স্থাপন করা হয়।
3. নতুন বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা : 1851 সালে সাবিত্রীবাই ও তাঁর স্বামী তিনটি বিদ্যালয় স্থাপন করেন এবং ১৫০ শিক্ষার্থীকে সাবিত্রীবাই পড়াতেন। এরপর তারা মিলিতভাবে মোট ১৮টি স্কুল প্রতিষ্ঠা করেন
4. পাঠদান পদ্ধতি : তাঁর পাঠদান পদ্ধতি নতুন ও উন্নত ছিল, যা তৎকালীন সরকারি বিদ্যালয়ের পদ্ধতির থেকে আলাদা। ফলে অনেক শিক্ষার্থী তার স্কুলে ভর্তি হতে শুরু করেন। তিনি শিক্ষার্থীদের লাঠি ও ভিজে মাটিতে লেখার কথা বলেন।
5. শ্রেণিবৈষম্যের বিরোধিতা : তিনি নিম্নশ্রেণির শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার অধিকার রক্ষা করতে সচেষ্ট ছিলেন। তিনি এবং তাঁর স্বামী তৎকালীন শিক্ষাব্যবস্থার বৈষম্যের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করেছিলেন এবং বিদ্যালয়ে নিম্নবর্ণের শিক্ষার্থীদের জন্য সুযোগ নিশ্চিত করেছিলেন।
উপসংহার : মহারাষ্ট্রের শিক্ষাক্ষেত্রে সাবিত্রীবাই ও জ্যোতিরাও ফুলের অবদান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ছিল। সাবিত্রীবাই ফুল তৎকালীন সময়ে একজন নারী শিক্ষাবিদ হিসেবে শুধুমাত্র মহারাষ্ট্রে নয়, সমগ্র ভারতের শিক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন। সুতরাং শিক্ষাক্ষেত্রে তাঁর অবদান অপরিহার্য।
🔹 লেখকের শেষ কথা :
একাদশ শ্রেণির দ্বিতীয় সেমিস্টার শিক্ষা বিজ্ঞান সিলেবাসের 'ভারতীয় শিক্ষার বিকাশে ভারতীয় সমাজ সংস্কারকদের অবদান' এই অধ্যায় থেকে আমাদের সাজেশন E-Book(PDF)গুলিতে আরো অনেকগুলি 5 নম্বর মানের ও 2 নম্বর মানের খুব গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন উত্তর আছে। সেগুলি পেতে হলে আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করুন অথবা উপরের Menu Option ক্লিক করে দেখতে পারেন।
File Details :
PDF Name : ভারতীয় সমাজ সংস্কারকদের অবদান PDF
Size : 1 MB
No. of Pages : 2
Mode : Read-only (Online)

আরো পড়ুন প্রশ্নোত্তর
1. ক্লাস 11 শিক্ষা ও মনোবিজ্ঞান PDF Click here
2. ক্লাস 11 বৃদ্ধি ও বিকাশ প্রশ্ন উত্তর PDF Click here
1. ক্লাস 11 বাংলা শিল্প সাহিত্য ও সংস্কৃতির ইতিহাস Click here



Thanks,
WB Semester Team 
📞 & 💬 9883566115

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.