WB Semester Display Ads-1

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

আন্তর্জাতিক সম্পর্ক ক্লাস-12 PDF | দ্বাদশ শ্রেণির চতুর্থ সেমিস্টার রাষ্ট্রবিজ্ঞান প্রথম অধ্যায় | Antorjatik Somporko Class 12

0

আন্তর্জাতিক সম্পর্ক : মূল ধারণা এবং রাজনৈতিক মতবাদসমূহ


ভূ(caps)মিকা : দ্বাদশ শ্রেণির চতুর্থ সেমিস্টার রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিষয়ে 40 নম্বরের লিখিত পরীক্ষা হবে। এই 40 নম্বর এর মধ্যে রাষ্ট্রবিজ্ঞান সিলেবাসের প্রথম অধ্যায় "আন্তর্জাতিক সম্পর্ক : মূল ধারণা এবং রাজনৈতিক মতবাদসমূহ" থেকে মোট 8 নম্বর আসবে। অর্থাৎ 2 নম্বর মানের একটি প্রশ্ন এবং 6 নম্বর মানের একটি প্রশ্ন করতে হবে। তাহলে মোট 2+6=8 নম্বর। এখন আমি নিচে তোমাদের সুবিধার জন্য দ্বাদশ শ্রেণির চতুর্থ সেমিস্টার রাষ্ট্রবিজ্ঞান সিলেবাসের প্রথম অধ্যায় থেকে 6 নম্বর মানের খুব গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন উত্তরসহ Free PDF নিচে দিলাম। তবে দ্বাদশ শ্রেণির চতুর্থ সেমিস্টার সাজেশন ই-বুকগুলি(PDF) সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চাইলে আমাদের ওয়েবসাইটের Menu Option এ ক্লিক করে দেখতে পারেন।
আন্তর্জাতিক সম্পর্ক ক্লাস-12 PDF

🔹 দ্বাদশ শ্রেণির চতুর্থ সেমিস্টার রাষ্ট্রবিজ্ঞান প্রথম অধ্যায় PDF

[প্রতিটি প্রশ্নের মান 6] 
1. উদারনীতিবাদের মূল বৈশিষ্ট্যগুলি সংক্ষেপে আলোচনা করো। [HS Model Question]
উত্তর : ১৯৭০-এর দশকে বাস্তববাদের বিরোধিতায় আন্তর্জাতিক সম্পর্কের আলোচনায় উদারনীতিবাদী তত্ত্বের বিকাশ ঘটে। এই তত্ত্বের অনেকগুলি বৈশিষ্ট্য রয়েছে, তার মধ্যে প্রধান বৈশিষ্ট্যগুলি হল -
উদারনীতিবাদী তত্ত্বের মৌলিক বৈশিষ্ট্যসমূহ : 
(ক) আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে শান্তি প্রতিষ্ঠা : উদারনীতিবাদ বিশ্বরাজনীতিকে ক্ষমতার লড়াই, হিংসা ও অনৈতিক কর্মকাণ্ড থেকে মুক্ত করতে চায়। তারা যুদ্ধ এড়িয়ে শান্তি, শৃঙ্খলা ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার পক্ষে। এজন্য সম্মিলিত জাতিপুঞ্জের মতো আন্তর্জাতিক সংগঠন ও আন্তর্জাতিক আইন মেনে চলার ওপর গুরুত্ব দেন।
(খ) গণতন্ত্রের প্রসার : উদারনীতিবাদী তত্ত্ব স্বৈরতন্ত্রের পরিবর্তে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার বিস্তারের পক্ষে। তাঁদের মতে, গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রগুলির মধ্যে যুদ্ধের পরিবর্তে শান্তিপূর্ণ সমাধান, অর্থনৈতিক সহযোগিতা ও পারস্পরিক নির্ভরশীলতার মাধ্যমে সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে ওঠে।
(গ) আর্থিক উন্নয়নে গুরুত্ব : এই তত্ত্ব সামরিক শক্তির পরিবর্তে অর্থনৈতিক উন্নয়নকে প্রধান বলে মনে করে। এজন্য উদারনীতিবাদীরা অবাধ বাণিজ্যের প্রসার ও আন্তর্জাতিক সংগঠনের মাধ্যমে বহুপাক্ষিক অর্থনৈতিক আদানপ্রদানের ওপর জোর দেন, যাতে রাষ্ট্রগুলির আর্থিক প্রগতি নিশ্চিত হয়।
(ঘ) আন্তর্জাতিক সহযোগিতা প্রতিষ্ঠা : উদারনীতিবাদ আন্তঃরাষ্ট্রীয় দ্বন্দ্বের শান্তিপূর্ণ সমাধানের জন্য বিশ্বস্তরে যৌথ প্রচেষ্টাকে সমর্থন করে। এ তত্ত্ব রাষ্ট্রগুলির মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতা ও সমঝোতার পরিবেশ গড়ে তোলার ওপর গুরুত্ব দেয়।
(ঙ) ক্ষমতার রাজনীতিকে অস্বীকার : উদারনীতিবাদীরা ক্ষমতার রাজনীতি প্রত্যাখ্যান করে, কারণ তা রাষ্ট্রগুলির মধ্যে বিদ্বেষ, রেষারেষি ও যুদ্ধ সৃষ্টি করে। বাস্তববাদী তত্ত্বের এই ক্ষমতা-নির্ভর দৃষ্টিভঙ্গির বিরোধিতা করেই আন্তর্জাতিক সম্পর্কে উদারনীতিবাদ স্বতন্ত্র তত্ত্ব হিসেবে বিকশিত হয়েছে।
(চ) বিশ্বজনীন আদর্শ প্রতিষ্ঠা : উদারনীতিবাদ জাতিরাষ্ট্রের সংকীর্ণ স্বার্থের ঊর্ধ্বে উঠে আন্তর্জাতিক শান্তি ও স্থিতি প্রতিষ্ঠার পক্ষে। তারা বিশ্বজনীন আদর্শ গঠনের কথা বলে। এই কারণেই আন্তর্জাতিক সম্পর্কে উদারনীতিবাদী তত্ত্বকে উদার আন্তর্জাতিকতাবাদ বলা হয়।
উপসংহার : আন্তর্জাতিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে উদারনীতিবাদ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখলেও, তা পাশ্চাত্যনির্ভর ও একপেশে দৃষ্টিভঙ্গি হিসেবে সমালোচিত। সমালোচকদের মতে, উদারনীতিবাদীদের পুঁজিবাদকেন্দ্রিক ধারণা বৈশ্বিক বৈষম্য বৃদ্ধি করেছে।

2. আন্তর্জাতিক সম্পর্ক ও আন্তর্জাতিক রাজনীতির মধ্যে পার্থক্য আলোচনা করো। [HS-2019, 15]
উত্তর : আন্তর্জাতিক সম্পর্ক ও আন্তর্জাতিক রাজনীতি একই অর্থে ব্যবহৃত হলেও এদের মধ্যে অনেকগুলি পার্থক্য রয়েছে। তার মধ্যে প্রধান পার্থক্যগুলি হল -
আন্তর্জাতিক সম্পর্ক ও আন্তর্জাতিক রাজনীতির পার্থক্য :
(ক) প্রকৃতিগত পার্থক্য : প্রখ্যাত বাস্তববাদী তাত্ত্বিক মরগেনথাউ আন্তর্জাতিক রাজনীতিকে মূলত রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে ক্ষমতা, প্রতিযোগিতা, প্রতিদ্বন্দ্বিতা, বিরোধ ও সংঘর্ষকেন্দ্রিক আলোচনা হিসেবে দেখেন।
অন্যদিকে, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতা, প্রতিযোগিতা, মিত্রতা ও সমন্বয়ের মতো বিভিন্ন দিককে অন্তর্ভুক্ত করে। এটি সরকারি ও বেসরকারি, রাজনৈতিক ও অরাজনৈতিক সম্পর্কের তাত্ত্বিক এবং ব্যবহারিক দিকগুলোও আলোচনা করে।
(খ) পরিধিগত পার্থক্য : বিশেষজ্ঞদের মতে, আন্তর্জাতিক সম্পর্কের পরিধি বেশি বিস্তৃত। এটি শুধু রাষ্ট্রের সম্পর্ক নয়, অরাষ্ট্রীয় সংস্থা ও প্রতিষ্ঠানের সম্পর্ককেও অন্তর্ভুক্ত করে। এছাড়াও, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্বসমাজের সকল জনগণ ও গোষ্ঠীর সম্পর্ক নিয়ে আলোচনা করে। রাষ্ট্রগুলির পারস্পরিক রাজনৈতিক বিষয়ের সঙ্গে অর্থনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও মানবিক পরিবেশের বিষয়ও এর আলোচনায় অন্তর্ভুক্ত।
অন্যদিকে, আন্তর্জাতিক রাজনীতি আন্তর্জাতিক সম্পর্কের মতো বিস্তৃত নয়। এটি কেবল রাষ্ট্র ও রাজনৈতিক সংস্থার সম্পর্ক এবং রাষ্ট্রগুলির রাজনৈতিক বিষয় নিয়ে আলোচনা করে।
(গ) পামার ও পারকিন্স-এর মত : পামার ও পারকিন্স অনুসারে, আন্তর্জাতিক সম্পর্কের ধারণা আন্তর্জাতিক রাজনীতির তুলনায় বিস্তৃত। আন্তর্জাতিক রাজনীতি হলো 'আন্তর্জাতিক সমাজের রাজনীতি', যা মূলত কূটনীতি এবং রাষ্ট্রীয় সংস্থাগুলোর সম্পর্ক নিয়ে আলোচনা করে।
অন্যদিকে, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্বসমাজের সকল মানুষ ও গোষ্ঠীর সম্পর্ককে অন্তর্ভুক্ত করে। অর্থাৎ, আন্তর্জাতিক রাজনীতি আন্তর্জাতিক সম্পর্কের একটি অংশ মাত্র।
(ঘ) কে জে হলস্টি-এর মত : হলস্টি মতে, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভিন্ন দেশের অর্থনীতি, বিদেশনীতি, রাজনৈতিক প্রক্রিয়া, বাণিজ্য, যোগাযোগ ব্যবস্থা, আন্তর্জাতিক নীতি-নৈতিকতা ও আন্তর্জাতিক সংস্থার সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে সম্পর্কিত।
অন্যদিকে, আন্তর্জাতিক রাজনীতি এই বিষয়গুলোর সঙ্গে সম্পর্কিত নয়। এটি মূলত পররাষ্ট্র সম্পর্ক এবং সরকার বা উচ্চতর রাজনৈতিক কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত ও কর্মসূচির বাস্তবায়ন নিয়ে আলোচনা করে।
(ঙ) শ্লেইচার-এর মত : শ্লেইচার মতে, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক এবং আন্তর্জাতিক রাজনীতি সমার্থক নয়। আন্তর্জাতিক সম্পর্ক রাষ্ট্রগুলির মধ্যে বিরোধ ও সহযোগিতা—উভয় দিককেই অন্তর্ভুক্ত করে।
অন্যদিকে, আন্তর্জাতিক রাজনীতি প্রধানত বিরোধ, বিবাদ ও সংঘর্ষকেন্দ্রিক।
(চ) মরগেনথাউ-এর মত : মরগেনথাউ মতে, আন্তর্জাতিক সম্পর্কের আলোচনার বিষয়বস্তুতে রাষ্ট্রগুলির পারস্পরিক ক্ষমতার বিরোধ, সহযোগিতা, প্রতিযোগিতা এবং সমন্বয়সহ নানা বিষয় অন্তর্ভুক্ত থাকে।
অন্যদিকে, আন্তর্জাতিক রাজনীতি মূলত ক্ষমতার লড়াই নিয়ে গঠিত। এটি রাষ্ট্রগুলির মধ্যে ক্ষমতার দ্বন্দ্ব এবং এই ক্ষমতাকেন্দ্রিক প্রতিযোগিতা ও প্রতিদ্বন্দ্বিতিকে বিশেষভাবে আলোচনা করে।

3. আন্তর্জাতিক সম্পর্কে মার্কসবাদ-এর মূল বৈশিষ্ট্যগুলি আলোচনা করো। [HS Model Question]
উত্তর : আন্তর্জাতিক সম্পর্কের আলোচনায় কার্ল মার্কসের চিন্তাধারার উপর ভিত্তি করে স্বতন্ত্র বিশ্লেষণ ধারা গড়ে উঠেছে। আন্তর্জাতিক সম্পর্কের আলোচনায় মার্কসীয় তত্ত্বের অনেকগুলি বৈশিষ্ট্য রয়েছে। তার মধ্যে মৌলিক বৈশিষ্ট্যগুলি হল -
(ক) অর্থনৈতিক উপাদানের প্রাধান্য : মার্কসবাদ অনুসারে আন্তর্জাতিক সম্পর্কের মূল ভিত্তি অর্থনৈতিক। রাষ্ট্রগুলির মধ্যে যুদ্ধ ও সংঘাতের মূল কারণ অর্থনৈতিক বৈষম্য। অসম অর্থনৈতিক ব্যবস্থা হল ভিত্তি (Base), আর আন্তর্জাতিক আইন, কূটনীতি ও রাজনীতি হল উপরিকাঠামো (Super Structure)। উন্নত দেশগুলি স্বল্পোন্নত দেশগুলির ওপর আধিপত্য বিস্তারের মাধ্যমে বিশ্ব অর্থনৈতিক ব্যবস্থার অসাম্য সৃষ্টি করে।
(খ) শ্রেণিসংগ্রামের গুরুত্ব : মার্কসীয় দৃষ্টিভঙ্গি বিশ্বরাজনীতিকে বিশ্লেষণ করে শ্রেণিসংগ্রামের আলোকে। মার্কসবাদীদের মতে, সারা বিশ্ব 'haves' এবং 'have nots'-এই দুই শ্রেণিতে বিভক্ত। পুঁজিবাদী বাজার বিস্তারের কারণে দরিদ্র দেশগুলো শোষিত হয় এবং বিশ্বে ক্ষমতার অসম বণ্টন দেখা দেয়।
(গ) আন্তর্জাতিক স্তরে শ্রেণিচরিত্রের গুরুত্ব : মার্কসীয় তত্ত্বে আন্তর্জাতিক সম্পর্কের মূল উপাদান হল 'শ্রেণি'। রাষ্ট্রের বদলে মার্কসবাদীরা শ্রেণিভিত্তিক বিশ্লেষণের ওপর আস্থা রাখেন।
(ঘ) বিশ্ববিপ্লবের গুরুত্ব : মার্কসবাদী তাত্ত্বিকরা আন্তর্জাতিক স্তরে বিপ্লবের মাধ্যমে ক্ষমতার ভারসাম্য পরিবর্তন করে বিশ্বে সমাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে চান। তাদের মতে, বিশ্বব্যাপী সমাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হলে রাষ্ট্রগুলির মধ্যে যুদ্ধ ও সংঘাত বন্ধ হবে।
(ঙ) সর্বহারার আন্তর্জাতিকতাবাদ : মার্কসবাদ অনুযায়ী, সর্বহারা কোনো দেশের সঙ্গে সীমাবদ্ধ নয়; তারা বিশ্বব্যাপী শোষিত। এই শ্রেণিকে পুঁজিবাদী শোষণ থেকে মুক্তি পেতে বিপ্লবের ডাক দিতে হবে। বিশ্ববিপ্লবের মাধ্যমে শ্রমজীবী শ্রেণির মুক্তি সম্ভব।
(চ) জাতির আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকার : মার্কসবাদী দৃষ্টিতে তৃতীয় বিশ্বের স্বাধীনতা ও আত্মনিয়ন্ত্রণ গুরুত্বপূর্ণ। তারা মনে করেন, সাম্রাজ্যবাদ পতনের পর বিপ্লবের মাধ্যমে শ্রেণিহীন, রাষ্ট্রহীন সমাজে স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠা সম্ভব, কারণ সেখানে যুদ্ধের কোনো সম্ভাবনা থাকে না।
উপসংহার : আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে নতুন দৃষ্টিভঙ্গি হিসেবে মার্কসবাদের উদ্ভব হলেও অতিমাত্রায় অর্থনৈতিক নিয়ন্ত্রণবাদের কারণে তত্ত্বটি সমালোচিত। এছাড়া বিশ্ব সমাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠার স্বপ্নও সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পর অধরা থেকে গেছে।

4. আন্তর্জাতিক সম্পর্কের আলোচনায় আদর্শবাদ বলতে কী বোঝো? তত্ত্বটির মৌলিক বৈশিষ্ট্যসমূহ আলোচনা করো।
উত্তর : আদর্শবাদের সংজ্ঞা : আন্তর্জাতিক সম্পর্কের আদর্শবাদী দৃষ্টিভঙ্গি বলতে বোঝায় সেই বিশ্লেষণভঙ্গিকে যা স্থায়ী বিশ্বশান্তি, যুদ্ধ ও নৈরাজ্যের অবসান এবং যৌথ নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে লক্ষ্য স্থির করে এবং মানবপ্রকৃতির শান্তিকামী প্রবৃত্তির উপর গুরুত্ব আরোপ করে।
আদর্শবাদী তত্ত্বের মৌলিক বৈশিষ্ট্যসমূহ : 
(ক) নৈতিকতার প্রতি গুরুত্ব : আদর্শবাদের মতে, রাষ্ট্রগুলির সম্পর্ক নির্ধারণে নৈতিকতা গুরুত্বপূর্ণ। সাধারণ নৈতিক আদর্শ ও মূল্যবোধ বিশ্বসম্প্রদায়কে একত্রিত করে এবং রাষ্ট্রগুলির মধ্যে সম্পর্ক স্থাপনে যুদ্ধ, সহিংসতা ও স্বৈরাচার এড়াতে সাহায্য করে।
(খ) আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানের ভূমিকা : আদর্শবাদের মতে, যুদ্ধ নির্মূল ও আন্তর্জাতিক শৃঙ্খলা রক্ষার জন্য আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানের সক্রিয় উপস্থিতি প্রয়োজন। তারা মনে করতেন, আন্তর্জাতিক স্তরে একটি প্রতিষ্ঠান স্থাপন করলে রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে সুসম্পর্ক গড়ে নৈরাজ্য কমানো সম্ভব। এই উদ্দেশ্যে রাষ্ট্রপতি উইলসন প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পরে মিত্রশক্তির (ব্রিটেন, আমেরিকা, ফ্রান্স, রাশিয়া) উদ্যোগে ১৯২০ সালের ১০ জানুয়ারি ‘লিগ অফ নেশনস্’ প্রতিষ্ঠা করেন।
(গ) পারস্পরিক সহযোগিতার প্রতি গুরুত্ব : এই তত্ত্ব অনুযায়ী, রাষ্ট্রগুলোর সম্পর্ক স্থাপনে পারস্পরিক সহযোগিতা গুরুত্বপূর্ণ। যেহেতু ক্ষমতার দ্বন্দ্ব থাকলে শান্তিপূর্ণ বিশ্বব্যবস্থা তৈরি করা সম্ভব নয়, তাই রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে সহযোগিতা অপরিহার্য।
(ঘ) রাষ্ট্রীয় কার্যকারীর প্রাধান্য : আদর্শবাদ অনুযায়ী, রাষ্ট্র হলো আন্তর্জাতিক ব্যবস্থার প্রধান কারক। কারণ রাষ্ট্রই আন্তর্জাতিক রাজনীতি পরিচালনার প্রধান শক্তি।
(ঙ) কূটনীতি ও আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে বিরোধ মীমাংসা : আদর্শবাদীরা শান্তিপূর্ণ আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে বিবাদ মীমাংসা করে স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে চান। তারা সহিংসতা, ক্ষমতা প্রদর্শন বা সশস্ত্র আক্রমণের মাধ্যমে সমস্যার সমাধান অনুমোদন করেন না।
(চ) ইতিবাচক মানবচরিত: আদর্শবাদীদের মতে, মানবপ্রকৃতি মূলত ভালো ও সহযোগিতামূলক। মানুষ আত্মকেন্দ্রিক বা ক্ষমতালিপ্ত নয় এবং প্রাকৃতিকভাবে অন্যকে সাহায্যের হাত বাড়াতে পারে। এই সহযোগিতার মনোভাবই মানবসভ্যতার উন্নয়নের মূল উৎস।
উপসংহার : ১৯৩০-এর দশকে আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে জাতীয় স্বার্থের প্রাধান্য, ইউরোপে ফ্যাসিবাদ ও নাৎসিবাদের উত্থান, ক্ষমতার রাজনীতির আধিপত্য ও অর্থনৈতিক মন্দা আন্তর্জাতিক সম্পর্কের চর্চায় আদর্শবাদের অকার্যকারিতা ও দুর্বলতাকে স্পষ্ট করে তোলে।
🔹 লেখকের শেষ মন্তব্য :
দ্বাদশ শ্রেণির চতুর্থ সেমিস্টার রাষ্ট্রবিজ্ঞানের এই অধ্যায় থেকে 6 নম্বর মানের আরো অনেকগুলি খুব গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন উত্তর আছে। সেগুলি পেতে হলে আমাদের WB Semester Team প্রকাশিত দ্বাদশ শ্রেণির চতুর্থ সেমিস্টার সাজেশন ই-বুকগুলি (PDF) সংগ্রহ করতে হবে।
File Details :
PDF Name : আন্তর্জাতিক সম্পর্ক : মূল ধারণা এবং রাজনৈতিক মতবাদসমূহ PDF
Size : 1 MB
No. of Pages : 3
Download Link : Click here To Download

আরো পড়ুন প্রশ্নোত্তর
1. 'কেন এল না' কবিতার প্রশ্ন উত্তর PDF  Click here
2. ডাকঘর নাটকের প্রশ্ন উত্তর PDF Click here
3. বাঙালির চলচ্চিত্রের ইতিহাস PDF  Click here

Thanks,
WB Semester Team 
📞 & 💬 9883566115

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.