মাধ্যমিক প্রবন্ধ রচনা সাজেশন 2026
Madhyamik Rachana Suggestion 2026
▶ এই বছর মাধ্যমিক বাংলা পরীক্ষার জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ প্রবন্ধ রচনা গুলি হল -
1. বিশ্ব উষ্ণায়ন
2. বাংলা উৎসব
3. পরিবেশ দূষণ ও তার প্রতিকার / দূষণ প্রতিরোধে ছাত্রসমাজের ভূমিকা / পরিবেশ সুরক্ষায় ছাত্র-ছাত্রীদের ভূমিকা
4. বৃক্ষরোপণ / একটি গাছ একটি প্রাণ
5. কুসংস্কার ও ছাত্রসমাজ অথবা, কুসংস্কার প্রতিরোধে ছাত্রছাত্রীদের ভূমিকা / বিজ্ঞানের আশীর্বাদ না অভিশাপ / বিজ্ঞানের সুফল ও কুফল / বিজ্ঞানের ভালো মন্দ
6. তোমার জীবনের লক্ষ্য
7. তোমার দেখা একটি মেলা / একটি ভ্রমণের অভিজ্ঞতা
8. একটি গাছের আত্মকথা
9. তোমার প্রিয় ঋতু
10. বাংলার ঋতুবৈচিত্র্য
11. রক্তদান জীবন দান
উপরের সব প্রবন্ধ রচনাগুলির উত্তর নিচের বইটিতে (PDF) দেওয়া আছে। বইটি পেতে 9883566115 (WhatsApp Only) নম্বরে যোগাযোগ করো।
File Details :
File Name : মাধ্যমিক প্রবন্ধ রচনা সাজেশন 2026
Publication : WB Semester Team
File Format : PDF
No. of Pages : 35
File Size : 1.5 MB
Price : 30 টাকা
Contact : 9883566115 (WhatsApp Only)
Madhyamik Probondho Rachana Suggestion 2026
▶ নীচে একটি প্রবন্ধের উত্তর বলে দেওয়া হল -
কুসংস্কার ও ছাত্রসমাজ
অথবা,
কুসংস্কার প্রতিরোধে ছাত্রছাত্রীদের ভূমিকা
ভূমিকা : বর্তমান যুগ বিজ্ঞানের যুগ। বিজ্ঞান যুক্তি-বুদ্ধির দ্বারা প্রকৃতি জগতের নানা রহস্যের সমাধান করেছে। তবু মানুষের মনে নানা অবৈজ্ঞানিক বিশ্বাস দানা বেঁধে আছে। অপ্রাকৃত, অলৌকিক, যুক্তিহীন এই বিশ্বাসকে কুসংস্কার বলে। এগুলি মানুষের মুক্ত চেতনাকে আচ্ছন্ন করে রাখে। কুসংস্কার মানবজীবনকে গণ্ডিবদ্ধ করে রাখে, এগিয়ে চলতে বাধা সৃষ্টি করে, চিন্তা-চেতনা ঘুম পাড়িয়ে রাখে। এযুগে আধুনিক বিজ্ঞানের ব্যাপক বিকাশ সত্ত্বেও মানুষের মন থেকে এইসব কুসংস্কার দূর হয়নি। তাই বলা বাহুল্য তথাকথিত আধুনিক যুগে বাস করেও আমরা মধ্যযুগীয় চেতনায় আবিষ্ট হয়ে আছি।
কুসংস্কার কী : কুসংস্কার হল মানুষের যুক্তি-বিচারহীন অন্ধ বিশ্বাস, মিথ্যা ধারণা। ইংরেজিতে একে বলে 'Superstition' কুসংস্কার কী? যা বহুদিন ধরে চলে আসছে-এমন অন্ধ বিশ্বাস মানুষের অজ্ঞতার কারণে কুসংস্কারে পরিণত হয়েছে। বিজ্ঞানের যুগেও মানুষ তন্ত্রমন্ত্র ঝাঁড়ফুক করে ভূত প্রেত, ডাইনি, জিন ইত্যাদির ভয়ে মরে।
কুসংস্কারের স্বরূপ : আমাদের দেশে কুসংস্কারের সীমাপরিসীমা নেই। এখনও ডাইনি সন্দেহে মানুষ খুন করা হয়। মন্দিরে পশু বলি দেওয়া হয়। বিড়াল রাস্তা পার হলে গাড়ি থমকে দাঁড়ায়। টিকটিকির স্বাভাবিক ডাক আমাদের মনে খটকা জাগায়। সূর্যগ্রহণ ও চন্দ্রগ্রহণে বাড়ি বাড়ি হাড়ি ফেলার ধূম পড়ে যায়। ছাত্ররা সূর্যগ্রহণ ও চন্দ্রগ্রহণের বৈজ্ঞানিক কারণ জানার পরেও সূর্য ও চন্দ্রগ্রহণের সময় রাহুর কৃত থেকে চন্দ্র সূর্যকে মুক্ত করার জন্য খোলকরতাল নিয়ে হরিধ্বনি করে। কুসংস্কার আমাদের চিন্তা-চেতনাকে আচ্ছন্ন করে বলেই আমরা প্রকৃত সত্য থেকে দূরে সরে যাই।
কুসংস্কার প্রতিরোধের প্রয়োজনীয়তা : নদী তার গতি হারালে শৈবালে পূর্ণ হয়, জাতি গতি হারালে কুসংস্কারে আচ্ছন্ন হয়। কুসংস্কার প্রগতির পথে অন্তরায় সৃষ্টি করে। দেশের নিরক্ষর মানুষদের কাছে বিজ্ঞানের আলো পৌঁছে দিয়ে তাদের যুক্তিবাদী করে তুলতে পারে। মানুষকে শেখাতে হবে কুসংস্কার মানবিকতা বিরোধী। দৈব ও অলৌকিক বলে কিছু হয় না। তাই দেশের প্রকৃত প্রগতির জন্য কুসংস্কার দূরীকরণ আবশ্যিক।
শিক্ষিত মানুষের কুসংস্কার : আমাদের দেশে বিজ্ঞান জেনেও বহু মানুষ কুসংস্কারে আচ্ছন্ন। বৈজ্ঞানিকদের হাতে তাবিজ-কবচ প্রায়ই দেখা যায়। ডাক্তারেরা নির্ভর করেন জ্যোতিষীর ওপরে। জ্যোতিষীর নির্দেশে বহু শিক্ষিত লোক হাতে গ্রহরত্ন ধারণ করে চলেছেন। এঁরা 'জলপড়া' খান চোখ বুজে। গুরু চরণামৃত ভক্তির সঙ্গে পান করেন। বলা বাহুল্য এসবই অশিক্ষার ফল। তথাকথিত ডিগ্রি প্রাপ্ত শিক্ষিতদের মনের এসবই হল অন্ধ বিশ্বাস ও কুসংস্কার। প্রকৃত শিক্ষা হল যুক্তিনিষ্ঠ মনের শিক্ষা। সেই শিক্ষার অভাবেই এইসব কুসংস্কার আজও টিকে আছে।
কুসংস্কার প্রতিরোধে ছাত্রছাত্রীদের ভূমিকা : কুসংস্কার প্রতিরোধে ছাত্রদের ভূমিকা অপরিসীম। কেননা একাজ করতে পারে সুশিক্ষিত কুসংস্কার মুক্ত মনের অধিকারী নাগরিক সমাজ। আর পারে ছাত্রসমাজ। তারা মুক্ত জ্ঞানের অধিকারী। প্রকৃত বিদ্যা সংস্কার মুক্ত মন গঠন করে, সুতরাং ছাত্ররাই দেশকে কুসংস্কার থেকে মুক্ত করতে পারে। তারা আগামীদিনের দেশের ধারক বাহক। এই পৃথিবীতে সকল ঘটনা ও বিষয়ের পিছনে একটা যুক্তি-শৃঙ্খলা রয়েছে। সুতরাং অলীক বিশ্বাসের পিছনে না যাওয়াই উচিত। ছাত্ররা যুক্তিবাদী। তারা যুক্তি দিয়ে মানুষকে সব ঘটনার পিছনের সত্যকে সকলের সামনে তুলে ধরবে, এটাই প্রত্যাশিত। হাঁচি, টিকটিকি, বারবেলা, অমৃতযোগ ইত্যাদি আধি-দৈবিক-আধি-ভৌতিক ব্যাপারগুলি যে মানুষের অন্ধ-সংস্কার ছাড়া কিছু নয় - তা ছাত্ররাই ভালো করে সকলকে বোঝাতে পারবে। মানুষ কখনও ডাইনি হয় না, দেবতা কখনও সন্তানের রক্তে খুশি হন না, সতীদাহ হলে কারও কোনো লাভ হয় না, সূর্য ও চন্দ্রগ্রহণে শুধু হাড়িকুড়ি নষ্ট হয়-এইসব বিষয়ে ছাত্রছাত্রীরা মানুষকে বোঝাতে পারে।
উপসংহার : ছাত্রছাত্রীরা তাদের দায়িত্বের কথা কখনও ভুলবে না-এটাই প্রত্যাশিত। তারা জাতির মানসমুক্তি ঘটিয়ে ভারতবর্ষকে সকল বন্ধনমুক্ত মানবতার মুক্তিতীর্থে প্রতিষ্ঠিত করবে। তাদের কাছে জাতির এই প্রত্যাশা।
» লেখকের শেষ মন্তব্য : ঠিক এই রকম ভাবে প্রতিটি প্রবন্ধ রচনাগুলির উত্তর পয়েন্ট আকারে দেওয়া রয়েছে। তাই আজকেই এই বইটি (PDF) সংগ্রহ করতে পারেন। আমাদের এই পরিশ্রম আপনাদের কাজে লাগলে, অবশ্যই Comment করে জানাতে ভুলবেন না।
SOCIAL MEDIA | FOLLOW |
---|---|
Whatsapp Group | Click Here |
Telegram | Click Here |
• Comment করো :
শুভেচ্ছা সহ,
WB Semester Team